সৌদি আরবকে হারিয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া

2 months ago 43

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়ান অঞ্চল থেকে সরাসরি খেলবে ৬টি দেশ। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৫টি দেশ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছিল। বাকি ছিল একটি। এই একটি জায়গার জন্য লড়াই ছিল সৌদি আরব এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। যদিও সৌদির চেয়ে এগিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

শেষ ম্যাচে সৌদি আরব যদি অস্ট্রেলিয়াকে ৫ গোলের বড় ব্যবধানে হারাতে পারতো, তাহলে হয়তো বিশ্বকাপে খেলতেও পারতো তারা; কিন্তু মঙ্গলবার সৌদি আরবকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

সে সঙ্গে টানা ষষ্ঠবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এ খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে সকারুজরা।

জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটির আল ইনমা ব্যাংক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অবশ্য গোল করে প্রথম এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক সৌদি আরবই। ১৯তম মিনিটে আব্দুলরহমান আল-ওবুদের গোল করেন।

তবে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে। কনর মেটকাফ এবং মিচেল ডিউকের গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ৪২তম মিনিটে গোল করে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফেরান কনর মেটকাফ। ৪৮তম মিনিটে মার্টিন বয়েলের ক্রস থেকে মিচেল ডিউক হেডে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

৮৪তম মিনিটে সৌদি আরব সুযোগ পেয়েছিল সমতায় ফেরার। পেনাল্টি পেয়েছিলো তারা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাটি রায়ান দুর্দান্ত সেভ করে দলকে রক্ষা করেন।

কোচ টনি পোপোভিচ, যিনি গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছেন, তার নেতৃত্বে দলটি অপরাজিত থেকেছে। সাবেক সকারু লুক উইকশায়ার এ জয়কে ‘পেশাদার পারফরম্যান্স’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং পোপোভিচের প্রভাবকে ‘অসাধারণ’ বলে প্রশংসা করেছেন।

এদিকে, এশিয়ার অন্যান্য ম্যাচে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া এবং কুয়েতের বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে। জাপান ৬-০ গোলে ইন্দোনেশিয়াকে পরাজিত করেছে, যেখানে দাইচি কামাদা দুটি গোল করেছেন। ওমান প্যালেস্টাইনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে চতুর্থ রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার এই সাফল্য তাদের ফুটবল ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া তাদের এই ধারাবাহিকতা দেশটির ফুটবলের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও প্রতিভার প্রমাণ দেয়।

আইএইচএস/

Read Entire Article