সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে দুই দলে বিভক্ত হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। তাতে সবুজ দলের কাছে পাত্তা পায়নি লাল দল। জাকের আলী নেতৃত্ব দিয়েছেন সবুজ দলকে, যেখানে লাল দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন লিটন দাস।
টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লিটন দাসের লাল দল। তবে বল হাতে তার দলের বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। সবুজ দলের ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে ২০৩ রান।
সবুজ দলের পক্ষে এদিন ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান সৌম্য সরকার। ২৯ বলে খেলেন ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শান্তও এদিন ছোট্ট এক ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২১ রান। তরুণ ব্যাটার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ২৭ বলে ৪৪। জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৫ রান। শেখ মেহেদী করেন ১২ বলে ১৭।
সবুজ দলের ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মাঝেও বল হাতে কৃপণ ছিলেন অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজ। ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি। শিকার করেন ১ উইকেট। এ ছাড়া খরুচে বোলিংয়ে খালেদ আহমেদ নেন তিন উইকেট।
২০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাল দল গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানে। তানজিদ হাসান তামিম ৮, পারভেজ হোসেন ইমন ১ রানে ফিরলে শুরুতেই চাপে পড়ে লাল দল। তামিমকে শরিফুল ইসলাম ও ইমনকে তাসকিন আহমেদ সাজঘরে ফেরান।
অধিনায়ক লিটন দাস দলের হাল ধরলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হন। ২৭ বলে ৩৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। হৃদয় ছিলেন মারকুটে মেজাজে। ২৭ বলে ৬৬ রান করে শান্তর দক্ষতায় রানআউট হন। দলের বাকি ব্যাটাররা জ্বলে উঠতে না পারায় শেষ পর্যন্ত হারই সঙ্গী হয় লাল দলের। সবুজ দলের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম।