স্কটল্যান্ডে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন একদল ফিলিস্তিনপন্থি। শনিবার (৯ মার্চ) টার্নবেরি নামে ওই রিসোর্টে ভাঙচুর করা হয়। পরে রিসোর্টটির একটি লনে লেখা হয়, গাজা বিক্রির জন্য নয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ফিলিস্তিনপন্থী ওই গ্রুপের নাম প্যালেস্টাইন অ্যাকশন। তারা এরই মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেরাই এ নিয়ে পোস্ট করে। তারা বলছেন, গাজা নিয়ে সম্প্রতি ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা এই ভাঙচুর চালিয়েছেন।
গ্রুপটি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে লেখে, ব্রিটেনে ট্রাম্পের সবচেয়ে ব্যয়বহুল গলফ কোর্স এই টার্নবেরি গলফ রিসোর্ট। সেখানে গিয়েছিল প্যালেস্টাইন অ্যাকশন। রিসোর্টটিতে এখন আর কেউ যেতে পারবেন না। ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলে মার্কিন প্রশাসনের অস্ত্র সহায়তা ও গাজায গণহত্যার প্রতিবাদে এই হামলা।’
এ ছাড়া বিবৃতিও দিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন। তাতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গাজা নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন, যেন এটি তার নিজস্ব সম্পত্তি। আমরা এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। এ কারণে আমরা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়। ফিলিস্তিনে মার্কিন-ইসরায়েলি উপনিবেশবাদ যতদিন চলবে, ততদিন এই হামলা হবে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গাজা নিয়ে নেওয়া ও উপত্যকাটি আরও আধুনিকভাবে গড়ে তোলা। বিষয়টি নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্টও করেন তিনি।
ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য ফিলস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ মার্চ) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে একে শেষ সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। হামাস যদি কথা অনুযায়ী কাজ না করে, তাহলে তাদের কোনো সদস্য নিরাপদ থাকবে না।
পোস্টে হামাসকে গাজা ছেড়ে চলে যেতে বলেন ট্রাম্প। তাছাড়া, সুন্দর ভবিষ্যতের আশ্বাস দিয়ে গাজার বাসিন্দাদেরও উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরেও জিম্মি-মুক্তি ইস্যুতে হামাসকে সতর্ক করেছিলেন ট্রাম্প।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
এসএএইচ