স্ক্রিনে আওয়ামী লীগ ফেরার স্ক্রল, হাসপাতালে ভাঙচুর-লুটপাট

17 hours ago 6

নোয়াখালী সদরের একটি হাসপাতালের স্ক্রিনে ভেসে উঠে 'আওয়ামী লীগ আবার ভয়ঙ্কর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু'। পরে সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় যুবদল নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় মাইজদীর সিটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে হামলায় অভিযুক্ত শহর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ বাবলুকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাতে সিটি হাসপাতালের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে 'আওয়ামী লীগ আবার ভয়ঙ্কর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু'। পরে বিষয়টি দেখে নাইটগার্ড স্ক্রিনের বিদ্যুৎলাইন কেটে দেন। মঙ্গলবার রাতে বাবলুর নেতৃত্বে যুবদল কর্মীরা গিয়ে ওই স্ক্রিন আবার চালাতে বলেন। সংযোগ দিলে আওয়ামী লীগ ফেরার ওই স্ক্রল আবার ভেসে ওঠে। এসময় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

স্ক্রিনে আওয়ামী লীগ ফেরার স্ক্রল, হাসপাতালে ভাঙচুর-লুটপাট

হাসপাতালের ম্যানেজার কাজী মো. শাহজাহান নাজিম জাগো নিউজকে বলেন, হামলায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসময় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, এক্সরে, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা, টেলিভিশন ভেঙে চুরমার করা হয়। হামলাকারীরা হাসপাতালের কাউন্টার থেকে ৪৫ হাজার ও ফার্মেসি থেকে ৩৫ হাজার নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছেন।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালের সাইনবোর্ডে আওয়ামী লীগ ফেরার স্ক্রলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে গেছিল শহর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ বাবলু। সেখানে অতি উৎসাহী কিছু লোক ভাঙচুর করে। পরে বাবলুকে বেদম মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হামলার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। ফিরে এসে আলাপ-আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এক সপ্তাহ আগে স্ক্রল উঠলেও সেটি অপসারণ করা আমাদের উচিত ছিল।

স্ক্রিনে আওয়ামী লীগ ফেরার স্ক্রল, হাসপাতালে ভাঙচুর-লুটপাট

এদিকে একটি সূত্র দাবি করেন, যুবদল নেতা বাবলু একসময় সিটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানে মালিকপক্ষের এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে তার মতবিরোধ হয়। সেই ক্ষোভ থেকে ৫ আগস্টের পর কয়েকবার হামলার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হন। পরে পূর্বের ক্ষোভ থেকে স্ক্রিনকাণ্ডের জেরে মঙ্গলবার রাতে তার নেতৃত্বে এ হামলা হয়। তবে বাবলু পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মো. আক্তার উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, হামলার ঘটনা দুঃখজনক। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগ ফেরার স্ক্রল উঠার পর সেটি অপসারণ করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামাল জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অভিযোগ না পেয়ে আটক আবদুল ওয়াদুদ বাবলুকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article