স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দায় মানবতা বনাম কৃত্রিম বুদ্ধির দ্বন্দ্ব

1 day ago 11

স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দায় আসতে চলেছে হলিউডের আলোচিত সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন ছবি ‘ট্রন: অ্যারেস’। আগামী ১৭ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে জোয়াকিম রনিং পরিচালিত এই সিনেমা। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রন: লিগ্যাসি’-এর সিক্যুয়েল এ ছবি।

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যারেড লেটো, গ্রেটা লি, ইভান পিটার্স, জোডি টার্নার-স্মিথ, হাসান মিনহাজ, আর্তুরো কাস্ত্রো ও গিলিয়ান অ্যান্ডারসন।

৪৫ বছরের পুরনো ‘ট্রন’ সিরিজের এই নতুন কিস্তি ডিজনি রিবুট আকারে তৈরি করেছে। আধুনিক যুগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মানব নৈতিকতা এবং প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলোকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে গল্প।

ছবির মূল চরিত্র অ্যারেস। একটি অত্যাধুনিক এআই প্রোগ্রামকে ‘গ্রিড’ নামে ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তব জীবনে পাঠানো হয়। তার লক্ষ্য মানবজাতির সঙ্গে প্রথম সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মানুষ তার প্রতি ভয় ও সন্দেহ দেখায় এবং ধ্বংসের চেষ্টা চালায়। ফলে অ্যারেস দ্বিধায় পড়ে। মানবতার পক্ষে দাঁড়াবে। নাকি নিজের প্রজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করবে। এই দ্বন্দ্বই ছবির মূল দর্শন।

১৯৭০-এর শেষ এবং ১৯৮০-এর গোড়ার দিকে এলিয়েনদের প্রথম পরিচয়ের সুবাদে মূল গল্পের ধারণা তৈরি হয়েছিল। ২০১০ সালের ‘লিগ্যাসি’ মুক্তির পর থেকে অ্যারেসের চরিত্রটি ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। প্রাথমিক স্ক্রিপ্ট পরিবর্তিত হলেও নির্মাতারা অ্যারেসের মূল গল্পের কিছু অংশ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

চিত্রগ্রহণ শুরু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভ্যাঙ্কুভারে এবং মে মাসে শেষ হয়। ছবির সুনির্দিষ্ট ভিজ্যুয়াল এবং নকশা, আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংমিশ্রণে দর্শককে এক অভিনব অভিজ্ঞতা দেবে।

‘ট্রন: অ্যারেস’ শুধুমাত্র এক অ্যাকশন সিনেমা নয়; এটি মানব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে নৈতিক দ্বন্দ্ব, প্রযুক্তির সীমা, এবং মানুষের ভয় ও সংবেদনশীলতার প্রশ্ন তোলে। সিনেমা প্রেমিকরা স্টার সিনেপ্লেক্সে এই দৃষ্টিনন্দন অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারবেন।

এই নতুন কিস্তি কেবল ভিজ্যুয়াল বিস্ময় নয়, দর্শকদের ভাবনায় এক নতুন দ্বন্দ্ব জাগাবে। মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো কি সহজ নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব?

এলআইএ/জেআইএম

Read Entire Article