স্তন ক্যানসার এমন এক রোগ, যা সময়মতো শনাক্ত হলে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেক নারীই প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ বুঝতে পারেন না বা পরীক্ষা করান না। অথচ নিয়মিত স্ক্রিনিংই পারে বিপদকে অনেক আগেই চিহ্নিত করতে ও একটি জীবন বাঁচাতে।
কখন থেকে স্ক্রিনিং শুরু করবেন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর একবার ম্যামোগ্রাম করা উচিত। তবে যাদের পরিবারে মা, বোন বা খালা-ফুপুর স্তন ক্যানসারের ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর থেকেই নিয়মিত পরীক্ষা শুরু করা দরকার।
এছাড়া ২০ বছর বয়সের পর থেকেই প্রতি মাসে একবার নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা ভালো অভ্যাস। এটি করতে হবে পিরিয়ড শেষ হওয়ার ৩ থেকে ৫ দিন পর। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে স্তনের আকৃতি, আকার বা ত্বকে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে।
কেন স্ক্রিনিং জরুরি?
গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে নিরাময়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। নিয়মিত ম্যামোগ্রাম বা আলট্রাসাউন্ডে এমন টিউমারও ধরা পড়ে, যা হাতে স্পর্শে টের পাওয়া যায় না। অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, চিকিৎসা তত সহজ ও কার্যকর হবে।

আরও যেসব বিষয়ে সচেতন থাকবেন
>> নিজের শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
>> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, নিয়মিত হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
>> অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
>> হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্তন ক্যানসার মানেই আতঙ্ক নয়। সচেতনতা, নিয়মিত পরীক্ষা আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন—এই তিনটি অভ্যাসই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি, জার্নাল অব ব্রেস্ট ক্যানসার রিসার্চ ২০২৩
এএমপি/জিকেএস

11 hours ago
7









English (US) ·