স্ত্রীর মরদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রাখে স্বামী, অতঃপর...
কুমিল্লার চান্দিনায় ছাবিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন চান্দিনা থানায় স্বামী আবুল খায়ের ও তার বোন শিউলী আক্তার এবং ভাগিনা রুবেলকে আসামি করে মামলা করেছেন। এর আগে রোববার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ছাবিনা আক্তার মহিচাইল ইউনিয়নের হারালদার গ্রামের ময়নাল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী। ছাবিনার সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে ছাবিনাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন সৃষ্টি হয়। পরে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ বাথরুমে রেখে গোপন করার চেষ্টা করা হয়। আরও জানা গেছে, স্বামী আবুল খায়েরের পাশাপাশি তার বোন শিউলি আক্তার ও ভাগিনা রুবেলও নিয়মিত ছাবিনাকে নির্যাতন করত। তারা একই বাড়িতে থাকত এবং বিভিন্ন অজুহাতে ছাবিনার ওপর শারীরি
কুমিল্লার চান্দিনায় ছাবিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন চান্দিনা থানায় স্বামী আবুল খায়ের ও তার বোন শিউলী আক্তার এবং ভাগিনা রুবেলকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এর আগে রোববার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ছাবিনা আক্তার মহিচাইল ইউনিয়নের হারালদার গ্রামের ময়নাল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী। ছাবিনার সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে ছাবিনাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন সৃষ্টি হয়। পরে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ বাথরুমে রেখে গোপন করার চেষ্টা করা হয়।
আরও জানা গেছে, স্বামী আবুল খায়েরের পাশাপাশি তার বোন শিউলি আক্তার ও ভাগিনা রুবেলও নিয়মিত ছাবিনাকে নির্যাতন করত। তারা একই বাড়িতে থাকত এবং বিভিন্ন অজুহাতে ছাবিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করত।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, এ বিষয়ে বহুবার স্বামী আবুল খায়েরকে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি; বরং নির্যাতনের মাত্রা সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে।
নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের ওপর অত্যাচার চলে আসছিল। বহুবার আলাপ-আলোচনা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। রোববার রাতেও ছাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে সন্দেহ হয়। স্বামী খায়ের রাতে কল করে বলে ছাবিনা মারা গেছে। আমরা বাড়িতে গিয়ে তাকে বাথরুমে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চান্দিনা থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী আবুল খায়েরকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
What's Your Reaction?