স্ত্রীসহ বাখরাবাদ গ্যাসের সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব বিভাগের সাবেক উপব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৌনে দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৩ জুন) দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ে উপপরিচালক ফজলুল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব বিভাগের সাবেক উপব্যবস্থাপক আব্দুল হাই ভূইঁয়া (৬২) এবং তার স্ত্রী মিসেস আঞ্জুমান আরা বেগম (৫৬)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদক থেকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপক আব্দুল হাই ভূইয়ার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগমের কাছে সম্পদ বিবরণী জানতে চাওয়া হয়। তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের ওই ফরম নেন। পরবর্তীতে সম্পদ বিবরণী পূরণ করে ফরমটি ৬ মার্চ নিজ স্বাক্ষরে জমা দেন।

জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, তার নিজ নামে মোট এক কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং মোট ৮৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ তিনি সর্বমোট দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩৬ হাজার ১৪০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

কিন্তু আঞ্জুমান আরা বেগমের আয়কর নথি অনুযায়ী তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৭৯৩ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই কোটি ৯১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৩ টাকা। এছাড়া সম্পদ বিবরণী ফরমে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় উল্লেখ করেননি। অনুসন্ধানকালে দুদকের নিরপেক্ষ প্রকৌশলী টিম তার একটি বাড়ি পরিমাপ করে নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করেন এক কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮ টাকা।

এছাড়া তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর অস্থাবর অংশে মোট ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৫২টাকার কথা উল্লেখ করলেও যাচাই/অনুসন্ধানকালে মোট ৮৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া আব্দুল হাই ভূইঁয়ার তথ্য যাচাইকালেও বিভিন্ন অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসঙ্গতিপূর্ণ আয় পায় দুদক। যার বিপরীতে কোনো তথ্য প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।

দুদকের উপপরিচালক ফজলুল হক জাগো নিউজকে জানান, আমরা আজ সোমবার মামলাটি করেছি। আরও অনুসন্ধান করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এনআইবি/এএসএম