স্বর্ণের লোভে মামি-মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা, যুবক গ্রেফতার

1 hour ago 4

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূ জুলেখা বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা পারভেজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত পারভেজ নিহত মীমের মামাতো ভাই।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার পারভেজ রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর মহাদের বাড়ির আব্দুল করিমের ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃত পারভেজ হোসেন আর্থিক অভাব এবং ঋণের চাপে পড়ে তার মামার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন (৯ অক্টোবর) বিকেলে পারভেজ বাজার থেকে একটি চাকু কিনে আমড়া ও আপেল নিয়ে মামার বাড়িতে যায়। দ্বিতীয় তলায় মীমের কাছে গেলে মীম তার হাতে ছুরি দেখে চিৎকার করে ওঠে। ছুরি দেখার বিষয়টি মীম তার মাকে বলে দিতে পারে, এই ভয়ে পারভেজ প্রথমে মীমকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তার মামী জুলেখাকেও একইভাবে গলা কেটে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যা শেষে সে বাসা থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার ৭ দিন পর, পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পারভেজকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুরের দুটি দোকান থেকে বিক্রি করা আরও ১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

এসপি আকতার হোসেন বলেন, তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর রামগঞ্জ উপজেলায় উত্তর চন্ডীপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা ও মেয়ে কলেজছাত্রী মীমকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে ঘাতক পারভেজ বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ব্যবসায়ী মিজান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

কাজল কায়েস/কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article