কয়েকদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরমধ্যে
সবশেষ শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। তবে রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর এলাকার কালিগঞ্জ ও চৌকা সীমান্ত ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলি হাসান জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল সারাদিন সীমান্তে উত্তেজনা ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। শূন্য লাইনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরেক বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভারতীয়দের তাণ্ডবে ২০-৩০ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তবে সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
আসরাফুল নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশিরা জমিতে কাজ করছেন। সীমান্তের শূন্য রেখায় পাহারা বসিয়েছে বিজিবি। তবে আবার কখন আক্রমণ করে ভারতীয় নাগরিকরা এটা বলা অসম্ভব। তাই কিছুটা আতঙ্কিত সময় পার করছি।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, গ্রামবাসী ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে কৃষকের ফসল নষ্ট করছেন। তিনি বাইরে থেকে সাধারণ নাগরিকদের সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউবাররা সীমান্ত এলাকায় অযথা জড়ো হয়ে ফসল ও পরিবেশ নষ্ট করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো সহিংস পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, চৌকা ও কিরণগঞ্জ ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্ত পিলার ১৭৭ বরাবর বাংলাদেশের ভেতরে কিছু আম গাছ ছিল। ওই গাছ কাটা নিয়ে ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন শূন্যরেখা বরাবর দুই দেশের নাগরিকরা দাঁড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয়।
সোহান মাহমুদ/জেডএইচ/