স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে জোর করে ফুটন্ত তেলের মধ্যে হাত ডোবাতে বাধ্য করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওউ নারীকে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে। পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। প্রায়ই তাকে নিয়ে চলত নানা অভিযোগ ও অশান্তি। বারবার অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের নির্দোষিতা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ কিছুতেই কাটেনি। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে মানসিক ও শারীরিক হেনস্তা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি চরমে ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেদিন গৃহবধূর ননদ যমুনা ঠাকুর, ননদাই মনুভাই ঠাকুর এবং পরিবারের আরও দুজন সদস্য তাকে ভয়ঙ্কর কুসংস্কারপূর্ণ এক পরীক্ষায় বাধ্য করে।
বলা হয়, যদি তিনি সত্যিই স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত হন, তবে গরম তেলে হাত দিলেও কিছুই হবে না। কিন্তু মহিলা এই ‘প্রমাণ’ দিতে অস্বীকার করলে তাকে জোর করে ধরে ফুটন্ত তেলের মধ্যে হাত চুবিয়ে দেওয়া হয়।
হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ননদ, ননদাইসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সমাজকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু কুসংস্কার নয়, নারীর প্রতি ভয়াবহ নির্যাতনও বটে। এমন মানসিকতা ও সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নারী এভাবে নির্যাতিত হবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার