স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি মাসের শুরুতে তাদের পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে রোববার (৯ নভেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৭ মে তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। আর গত ২১ মে সাবেক এই দুই কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওইদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি পদত্যাগ করছি উপদেষ্টার পিও পদ থেকেও। তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে চিকিৎসক বদলি, টেন্ডার ও প্রশাসনিক তদবিরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী দুদকে ডা. মাহমুদুল হাসান ও তুহিন ফারাবি বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ এনে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। এরপর এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পৃথক দুই নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মাইয়াছে যে, আপনি জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমান সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হইয়াছেন। সেহেতু, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫ নং আইন) এর ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে আপনি আপনার নিজের, আপনার স্ত্রী এবং আপনার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী অত্র আদেশ প্রাপ্তির ২১ (একুশ) কার্যদিবসের মধ্যে এতসঙ্গে প্রেরিত ছকে দাখিল করিতে নির্দেশ দেওয়া যাইতেছে।
নোটিশে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করিলে উপরি-উক্ত আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (২) মোতবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএম/এসএনআর/জেআইএম

2 hours ago
3








English (US) ·