স্বেচ্ছাশ্রমে ১৫০ মিটার দীর্ঘ সাঁকো নির্মাণ করলেন যুবদল কর্মীরা

12 hours ago 6

লালমনিরহাটের সতী নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। এতে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের টাপুর গ্রামসহ আশপাশের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) সাঁকোটি উদ্বোধন করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

এ সময় তিনি বলেন, ‘জেলা যুবদল জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করছে এটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। রাজনৈতিক কর্মীদের এভাবে জনগণের পাশে থাকতে হবে। এসময় তিনি গ্রামবাসীকে সতী নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।’

এদিকে সাঁকো নির্মাণে স্বস্তি প্রকাশ করে টাপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, ‘নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় আমাদের চরম কষ্ট পোহাতে হতো। আগে গ্রামের মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো বানাতো। এবার যুবদলের নেতারা নিজেদের টাকায় মজবুত সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। সাঁকোটা হওয়ায় গ্রামবাসীর অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন রিকশা-সাইকেলও চলাচল করতে পারছে।’

আরেক কৃষক মনসুর আলী বলেন, ‘আমাদের কষ্টটা বুঝে নেতারা বাঁশের সাঁকো বানাইছে। এখন সহজে চলাফেরা করা যায়। তবে আমাদের দাবি, এ নদীর ওপর যেন স্থায়ী একটা ব্রিজ তৈরি করা হয়।’

স্বেচ্ছাশ্রমে ১৫০ মিটার দীর্ঘ সাঁকো নির্মাণ করেছে যুবদলের নেতাকর্

গ্রামের বাসিন্দা আজাহার আলী জানান, ‘সাঁকোটি মজবুত হওয়ায় গ্রামবাসী এখন সহজে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে পারছেন। যুবদলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই এ কাজটা করেছেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মী হিসেবে এমন কল্যাণমূলক কাজ করা সত্যিই প্রশংসনীয়।’

এ উদ্যোগ সম্পর্কে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, ‘এলাকার মানুষের কষ্টের কথা জেনে আমরা নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরাই পাঁচদিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। কোনো শ্রমিক নেওয়া হয়নি। আমরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি।’

সংগঠনের সদস্যসচিব হাসান আলী জানান, ‘শুধু সাঁকো নয়, গত দেড় মাসে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ কিলোমিটারের বেশি কাঁচা রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন। আমরা নিজেরা চাঁদা ও শ্রম দিয়ে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য কাজ করছি। সামনে আরও কয়েকটি রাস্তা ও সাঁকো সংস্কারের পরিকল্পনা আছে।’

এদিকে স্থায়ী সেতুর দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বলেন, ‘আমরা টাপুর গ্রাম পরিদর্শন করব। সতী নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা হবে।’

মহসীন ইসলাম শাওন/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article