দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন, এমন কোনো আদেশ আর কখনো দেওয়া হবে না।
সামরিক আইন ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তা দ্রুত বাতিল করার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের ওই ভাষণের প্রতিক্রিয়ায়, তার শাসকদল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)-এর নেতা সাংবাদিকদের বলেছেন যে, ইউনের পক্ষে স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা আর সম্ভব নয়।
হান ডং-হুন বলেছেন, তার আগাম পদত্যাগ অনিবার্য।
ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও শোকাহত মানুষদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সামরিক আইন ঘোষণার বিষয়ে, আমি কোনো আইনি বা রাজনৈতিক দায় এড়াবো না।
অনেকের ধারণা ছিল যে, সামরিক আইন ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট তার প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
বরং তিনি বলেছেন যে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব তিনি তার শাসক দলের ওপর ছেড়ে দেবেন। তবে তিনি অভিশংসনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বিরোধী নেতা লি জে-মিউং বলেছেন, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যে তিনি হতাশ হয়েছেন এবং তার এই ঘোষণা জনসাধারণের ক্ষোভ বাড়বে এবং মানুষ ভাবতে শুরু করবে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।
লি আরও বলেছেন যে, তিনি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। তার মতে, বর্তমানে প্রেসিডেন্টের অস্তিত্বই দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
৫০ বছর বয়সী ইয়াং সুনসিল, সওলের নামদেমুন বাজারে একটি সি-ফুড খাবারের দোকানি। তিনি বলেছেন যে, সামরিক আইন ঘোষণার সময় তিনি ভয় পেয়েছেন এবং তার বিষয়টি অবিশ্বাস্য লাগছিল।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউনের ওপর আমি আমার সব আস্থা হারিয়ে ফেলেছি, আমি মনে করি না যে তিনি আর আমার প্রেসিডেন্ট।
একই বাজারের ক্রেতা হান জুংমো বলেন, ইউনের ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে কিংবা পদত্যাগে রাজি না হলে তাকে অভিশংসিত হতে হবে।
তিনি মনে করেন, প্রেসিডেন্ট জনগণের আস্থা ভেঙেছেন।
যদি তিনি জোর করে প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকতে চান তাহলে সেটা খুব হতাশাজনক হবে কারণ আমি বিশ্বাস করি এই প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে শুধু সামরিক আইন ঘোষণাই একমাত্র অপকর্ম নয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করার পর দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে যায়।
তিনি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও শিগগিরই এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে তিনি এই পদক্ষেপ কোনো বাহ্যিক হুমকি কারণে নেননি বরং নিজের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার কারণেই নিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ইউনের ডিক্রি বাতিল করার জন্য পার্লামেন্টে যোগ দিতে কয়েকজন আইনপ্রণেতা নিরাপত্তা বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপর দিয়ে লাফিয়ে পার হন।
পার্লামেন্ট সদস্যরা যখন ভোট দিয়ে এই ঘোষণা প্রত্যাহার করেন তার ছয় ঘণ্টা পরে ইউন ঘোষণাটি প্রত্যাহার করে নেন। তবে অনেকের উদ্বেগ ছিল যে তিনি দ্বিতীয় ডিক্রি জারির চেষ্টা করবেন।
কয়েকজন আইনপ্রণেতা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সামনে আগে থেকেই ঘোষণা বাতিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন।
দেশকে সামরিক শাসনের প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই জনপ্রিয়তার রেটিংয়ে পিছিয়ে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন। দুর্নীতির অভিযোগ ও একটি বিরোধী দল দ্বারা পরিচালিত আইনসভা তাকে একজন অসমর্থ নেতায় পরিণত করেছিল।
ফিরে দেখা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শাসনের ইতিহাস
কোহ জে-হাক এখনও স্পষ্টভাবে মনে করতে পারেন, সৈন্যরা একদল তরুণীকে তার চোখের সামনে কতোটা নির্মমভাবে গুলি করেছিল।
সময়টি ছিল ১৯৬০ সালের এপ্রিল মাস। শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট সিংম্যান রি-এর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিল।
কোহ হে হাক তখন একটি সরকারি ভবনে কাজ করতেন। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই তিনি দেখতে পান বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ সংঘাত চলছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীরা এক হয়ে ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিল। তখনই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।
ওই ঘটনার কয়েকদিন পর সামরিক আইন জারি করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়াকে এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, তবে দেশটির পরিস্থিতি সবসময় এমন ছিল না।
এটি এমন এক দেশ যা প্রথম ৪০ বছরে ১৬টি সামরিক আইন দেখেছে। বেশিরভাগ সময় দেশটির শাসনে ছিল স্বৈরাচারী নেতা।
এই কারণেই দক্ষিণ কোরিয়ানরা তাদের গণতন্ত্রকে অনেক কষ্টে অর্জিত অধিকার হিসেবে দেখে।
এই কারণেই প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের চলতি সপ্তাহে সামরিক আইনের ঘোষণা- ৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম, তাও আবার গণতান্ত্রিক শাসনকালে এমন একটি ঘোষণা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল এবং মানুষের মনে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে আইন প্রণেতারা এই ঘোষণা বাতিল করতে তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির দিকে ছুটে যান।
শত শত সাধারণ মানুষ সৈন্যদের আটকাতে রাস্তায় জড়ো হয়েছিল। সৈন্যদের নির্দেশ দেওয়া ছিল তারা যেন এমপিদের বের করে দেয়।
তবে ধারণা করা হয় কিছু সৈন্য, আদেশ পালন করতে চায়নি। তারা বিক্ষোভকারীদের সরাতে ও ভবনে প্রবেশে তেমন ভূমিকা রাখেনি বলে রিপোর্ট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করার সময় বলেছিলেন যে উত্তর কোরিয়াপন্থি শক্তিকে নির্মূল করার জন্য প্রয়োজন।
প্রথমে, দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়, তারা মনে করেছিল উত্তর কোরিয়া থেকে একটি সত্যিকারের কোনো হুমকি রয়েছে।
কিন্তু যখন তারা টেলিভিশনে প্রচারিত ইউনের ঘোষণা দেখে, অনেকেই মনেই সন্দেহ জাগে। কেননা তিনি এমন কোনো শক্তির প্রমাণ দেননি, এবং তারা কারা সেটাও ব্যাখ্যা করেননি।
যেহেতু ইউন আগেও তার রাজনৈতিক বিরোধীদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে একই ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তাই সাধারণ মানুষ বুঝে যায় যে তিনি আসলে তার রাজনৈতিক শত্রুদের পরাস্ত করার জন্যই এতকিছু করেছেন।
এর আগে যখন সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল, তখনো নেতারা তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, দেশের স্থিতিশীলতার জন্যই সেটি করা হচ্ছে।
অনেক সময় এরকম দাবিও করা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার কম্যুনিস্ট দুষ্কৃতিকারীদের দমন করার জন্য এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করেছিল। রাতে কারফিউ জারি এবং মানুষকে গ্রেফতারের ঘটনা ছিল সাধারণ বিষয়।
সেই সময় প্রায়ই সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। বিশেষভাবে ১৯৮০ সালের কথা বলতে হয়। ওই বছর দক্ষিণের শহর গাংজুতে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ করছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের দমন করতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চান ডু-হুয়ান সামরিক আইনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়।
সে সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর এক নৃশংস সামরিক হামলা চালানো হয়, যাকে পরবর্তীতে গণহত্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ বলা হলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি ওই সংঘাতে আরও কয়েকশ মানুষ মারা গিয়েছিল।
অবশেষে ১৯৮৮ সালে জনসাধারণের চাপে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার ভিত্তিতেই দক্ষিণ কোরিয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
গত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা পুরো জাতিকে স্থায়ী ও গভীরভাবে এসব বিষয়ে সচেতন করে তুলেছে।
৫৩ বছর বয়সী পরিবেশকর্মী কেলি কিম বলেন, বেশিরভাগ কোরিয়ানদেরই সামরিক আইন নিয়ে গভীর ট্রমা আছে। আমরা চাই না একই জিনিসের বারবার পুনরাবৃত্তি হোক।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বশেষ সামরিক আইন জারির সময় কিম অনেক ছোট ছিলেন এবং এ নিয়ে তার তেমন কোনো স্মৃতি নেই। তারপরও সামরিক ফিরে আসছে চিন্তা করলেই তার বুক কেঁপে ওঠে।
সরকার সব মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে, আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করবে। আমি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। আমাদের মূল কাজ সরকারের সমালোচনা করা, যা কিনা সামরিক আইনের অধীনে সম্ভব হবে না। এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর।
গণতন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতা শুধু একটি সমৃদ্ধ নাগরিক সমাজের জন্ম দেয়নি। বরং সেই প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর থেকে ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে, দক্ষিণ কোরিয়ার সৃজনশীল শিল্পগুলো বিকশিত হয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাটক, টিভি শো, সঙ্গীত এবং সাহিত্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছে। সৃজনশীল শিল্পগুলো নিজস্ব লেন্সে দেশের অতীতের দিকে নজর দিয়েছে, এমন ইতিহাস জীবিত করেছে যেগুলো অতীতে জানেনি এমনদের জন্য।
এই সৃজনশীল মাধ্যমগুলো দেশটির অতীতকে সামনে আনার কারণে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে। দেশটি তার স্বৈরাচারী শাসন, গোয়াংজু'র বিক্ষোভের মতো ঘটনাগুলো নিয়ে শো তৈরি করেছে।
এর মধ্যে কয়েকটি ইতিহাসভিত্তিক শো ভীষণ হিট হয়। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার বাঘা বাঘা তারকারা অভিনয় করেন।
১৯৭৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হি হত্যার পর দেশটিতে সামরিক আইন জারি করা হয়। সে সময়কার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
৩৭ বছর বয়সী ওয়েব ডিজাইনার মেরিনা কাং বলেন, যখনই আমি ইউনের সামরিক আইনের ঘোষণার ছবিগুলো দেখলাম, এটা আমাকে সেই সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছি?
কোরিয়ার কাছে সেই যুগের (চলচ্চিত্র এবং ডকুমেন্টারি) অনেক ভিজ্যুয়াল কাজ রয়েছে। যদিও আমরা এই কাজের মাধ্যমে অতীতের না দেখা অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করেছি। এখনো আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এ ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটবে না।
তরুণ নাগরিকদের শঙ্কা আছে যে সেই অতীত পরিস্থিতি আবার ফিরে আসতে পারে। যদিও তারা জানে না সামরিক আইনের অধীনে জীবন কেমন, তারা তাদের বাবা-মা এবং বড়দের থেকে জেনেই সামরিক আইন নিয়ে ভয় পায়।
১৫ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী কওন হু বলেন, যখন আমি প্রথম ইউনের ঘোষণা শুনেছিলাম, আমি শুরুতে খুশিই হয়েছিলাম যে যাক স্কুল থেকে একটি দিন ছুটি পাবো। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি। যখনই মনে হয় আমার প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটবে, তখন ভয় পেয়ে যাই। আমি ঘুমোতে পারছিলাম না।
হাংকুক ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেসন রিচি বলেন, বড় সংখ্যক কোরীয়রা গণতন্ত্রকে ভীষণ মূল্যায়ন করে এবং যুদ্ধ পরবর্তী স্বৈরশাসন নিয়ে অনুতপ্ত বোধ করে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী অতীতের বিভিন্ন দমনমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে দেশ এখনো বিভক্ত রয়ে গেছে বিশেষ করে কমিউনিস্ট বিদ্রোহ প্রতিরোধের জন্য কিছু দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কতটুকু ন্যায়সঙ্গত ছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের মধ্যে এই মত রয়েছে যে, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্য অতীতে সামরিক আইন আবশ্যক ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন অন্য দেশগুলোর থেকে আলাদা। দেশটিতে সামরিক আইন মানেই হত্যাকাণ্ড বা অযথা সংঘাত ছিল না।
কিন্তু এবারের বিষয়টি আলাদা। এই দুই বয়স্ক ব্যক্তিই মনে করেন যে প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন ঘোষণা অগ্রহণযোগ্য।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএসএম