স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজা: লাখো মানুষ বিদায় জানালো হাদিকে

কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই বলছেন, এটি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজাগুলোর একটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, এই জানাজায় ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় ইমামতি করেন শহীদ হাদির বড় ভাই। দুপুর ১টার মধ্যেই সংসদের দক্ষিণ প্লাজার দুটি বিশাল মাঠ মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর মানুষের ঢল ছড়িয়ে পড়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বিস্তীর্ণ রাজপথ জুড়ে। জনসমুদ্র ফার্মগেটের খামারবাড়ি, বিজয়স্মরণী ও আসাদগেট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এমনকি চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র এলাকা পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জানাজায় অংশ নেওয়া ৭০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম  বলেন,“জীবনে অনেক জানাজায় অংশ নিয়েছি, কিন্তু এত বড় জানাজা কখনো দেখিনি। শহীদ হাদি এখন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এ কারণেই মানুষ ঢল নেমেছে।” মিরপুর-১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, “আমার ৪২ বছরের

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজা: লাখো মানুষ বিদায় জানালো হাদিকে

কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই বলছেন, এটি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজাগুলোর একটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, এই জানাজায় ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় ইমামতি করেন শহীদ হাদির বড় ভাই। দুপুর ১টার মধ্যেই সংসদের দক্ষিণ প্লাজার দুটি বিশাল মাঠ মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর মানুষের ঢল ছড়িয়ে পড়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বিস্তীর্ণ রাজপথ জুড়ে। জনসমুদ্র ফার্মগেটের খামারবাড়ি, বিজয়স্মরণী ও আসাদগেট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এমনকি চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র এলাকা পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

জানাজায় অংশ নেওয়া ৭০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম  বলেন,“জীবনে অনেক জানাজায় অংশ নিয়েছি, কিন্তু এত বড় জানাজা কখনো দেখিনি। শহীদ হাদি এখন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এ কারণেই মানুষ ঢল নেমেছে।”

মিরপুর-১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, “আমার ৪২ বছরের জীবনে এমন জানাজা দেখিনি। আমার ধারণা, ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ এখানে উপস্থিত ছিলেন।”

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মাসুম বলেন, “কত লাখ মানুষ হয়েছে, সেটা হিসাব করা কঠিন। তবে জীবনে এত মানুষ একসঙ্গে দেখিনি।”

জানাজার আগে শহীদ হাদির বড় ভাইয়ের আবেগঘন বক্তব্যের সময় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। লাখ লাখ মানুষ অশ্রুসিক্ত চোখে তার বক্তব্য শোনেন। কান্না, স্লোগান আর নীরবতার মিশেলে পুরো পরিবেশ হয়ে ওঠে হৃদয়বিদারক।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow