পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অপূরণীয় ক্ষতির পাশাপাশি বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন আমড়াগাছিয়া ও সাপলেজা ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
হোগলপাতি গ্রামে রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট দুটি বাজার ও একটি মাছের আড়ত। স্লুইসগেট বিধ্বস্ত হওয়ায় স্থানীয়রা কাঠের ব্রিজ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কাঠের ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যে কোনো সময় কাঠের ব্রিজটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
হোগলপাতি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মো. এছাহাক তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ওয়াপদার বেড়িবাঁধটি বিধ্বস্ত হয়। এখানের মাদ্রাসা ও স্কুলে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে আসে। মাছের আড়তে গাড়ি আসতে পারে না। সরাসরি দুটি ইউনিয়নের পাশাপাশি অন্য এলাকার লোকজনও সরাসরি আসতে পারে না। তিনি এখানে পুনরায় স্থায়ী স্লুইসগেট বা ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানান।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।