পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগি গ্রামে পৃথিবীর আলো দেখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাসহ পরিবারের তিন সদস্য হারিয়েছে এক নবজাতক। নবজাতক ও তার বাবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২১ জুন) হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসের সঙ্গে অটোরিকশার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শিশুটির জন্ম হয়। প্রসবের পর মা মোসাদ্দিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নবজাতক, তার মা, বাবা, দাদা ও অন্য স্বজনরা একটি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে রওয়ানা দেন।
হাসপাতাল পৌঁছার আগেই পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের কেওড়াবুনিয়া এলাকায় বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অটোরিকশার। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নবজাতকের মা মোসাদ্দিকা, নানা আব্দুল আলিম ও মায়ের দাদিশাশুড়ি। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও দাদা।
দুর্ঘটনার শিকার পরিবারের আত্মীয় মাওলানা মাহমুদুল হাসান জানান, একের পর এক মৃত্যুর পরও বেঁচে ছিল ছোট্ট শিশুটি। তবে সেও নিরাপদ ছিল না। দুর্ঘটনার সময় নবজাতকটি অনেকক্ষণ পানির মধ্যে পড়ে ছিল, মাথায় আঘাত লেগেছে। বিকেল ৩টার দিকে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শামিম ওয়াহিদ জানান, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। মাথায় অভ্যন্তরীণ আঘাত এবং শরীরে সংক্রমণ তার জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/জেআইএম