বগুড়ায় হতাশা থেকে মাহবুবুর রহমান মিলন (৪৫) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি মানব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক ছিলেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সংস্থার অফিস কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এসআই সোহাগ ফকির জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এ রিপোর্ট তৈরির সময় তার গলায় অর্ধ চন্দ্র আকৃতির দাগ দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, ওই সংস্থার অফিস কক্ষের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তিনি অফিসের সিলিংফ্যানের সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তার কাছে বহু গ্রাহক পাওনা টাকা পেত। এ নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তিনি শহরের মালগ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।