হত্যা মামলায় সাংবাদিক হাবিব কারাগারে

3 months ago 11

হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাতক্ষীরার সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলামের আদালত। 

এর আগে হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।

হাবিবুর রহমান হাবিব সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। আদালতে তার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ। আর বাদী পক্ষে ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ আব্দুস সাত্তার।

আব্দুল মজিদ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আইন শৃঙ্খলা অবনতিতে দেবহাটার খলিশাখালীতে ১ হাজার ৩২৮ বিঘা মৎস্য ঘেরে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা ভূমিহীন জনপদে সন্ত্রাসী ঘটনায় সেনাবাহিনী পুলিশ যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গণপিটুনিতে সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম (৪০) নিহত হন। এসময় যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি হাতবোমা, ৫টি দেশি দাসহ বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে এবং ছয়জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কয়েক দিন পর নিহত কামরুল ইসলামের স্ত্রী তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলা স্থানীয় জমির মালিকদের আসামি করার পাশাপাশি সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায় এর আগে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. নজরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ আব্দুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, মর্জিনা খাতুন একজন অসহায় ও দরিদ্র নারী, যিনি তার স্বামীকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে মর্জিনা খাতুনের স্বামীর হত্যা মামলার আসামির জামিন না মঞ্জুর করতে আবেদন করেছি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

Read Entire Article