হলে ছাত্ররাজনীতি পুনর্বাসনের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

1 month ago 10

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি পুনর্বাসন ও জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাবির ভিসি চত্বরে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘গুপ্ত রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘সুপ্ত রাজনীতি, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, ‘ গত বছরের ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু এরপরও প্রথমে বাগছাস এবং ছাত্রশিবির গুপ্ত রাজনীতি শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ছাত্রদল কমিটি দিয়েছে, যার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি চালু হয়ে গেল।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক কাল থেকে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালগুলো তৈরি হয়েছিল একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করার জন্য। কিন্তু হলে কেন ছাত্র রাজনীতি করতে হবে? কারণ হচ্ছে, হলগুলোতে আবাসনসহ নানা সংকটের সুযোগ নিয়ে ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনীতিতে যুক্ত করে, যা তাদের জন্য এক প্রকার বাধ্যবাধকতা।

তিনি অভিযোগ করেন, এর মধ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের মূল প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়েছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসা লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো।

শামীম হোসেন বলেন,‘আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করি, এটা জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রকাশ্য বেইমানি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে ছাত্রলীগকে হল থেকে বিতাড়িত করেছে, সেভাবে সব দলকেই একদিন বিতাড়িত করবে’।

ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের নাইম মিয়া নামে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আপনাদের এই গুপ্ত রাজনীতি এবং প্রকাশ্যে হল কমিটি দিয়ে যে ছাত্ররাজনীতি করতে চাচ্ছেন সেগুলো তুলে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা আবারও চাচ্ছেন, নতুন করে গেস্টরুম কালচার চালু করার জন্য। আমরা জুলাই বিপ্লবকে এভাবে ভুলে যেতে পারি না।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নয়টি দফার মধ্যে একটি দফা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠনের কমিটি থাকবে না। কিন্তু আপনারা তা রক্ষা করেন নাই।আপনারা যতই চেষ্টা করেন আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্র রাজনীতি করতে দেব না।

এফএআর/ কেএইচকে/এএসএম

Read Entire Article