হাঁটু ভাঁজ করতে না পারলে যেভাবে নামাজ পড়বেন

4 weeks ago 11

অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা অন্য কোনো রোগের কারণে কেউ যদি নামাজে হাঁটু ভাঁজ করে সিজদা করতে ও বসতে অক্ষম হন বা হাঁটু ভাঁজ করে সিজদা করলে তার হাঁটুর অসুখ বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তিনি চেয়ারে বসে ইশারায় সিজদা আদায় করতে পারেন। এ রকম অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কিয়াম ও রুকু স্বাভাবিকভাবে আদায় করতে সক্ষম হন, তাহলে তিনি কিয়াম এবং রুকু স্বাভাবিকভাবে আদায় করবেন। অর্থাৎ তিনি নামাজ শুরু করবেন দাঁড়িয়ে এবং যথারীতি স্বাভাবিক নিয়মে রুকু করবেন। তারপর শুধু সিজদার সময় চেয়ারে বসে ইশারায় সিজদা আদায় করবেন। বসার সময় চেয়ারে বসবেন।

চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে এ রকম মাজুর ব্যক্তির জন্য সামনে টেবিল রেখে তাতে সিজদা করা জরুরি নয়। বরং তার জন্য শুধু ইশারাই যথেষ্ট। সামনে টেবিল রেখে সিজদা দিলেও নামাজ হয়ে যাবে যেহেতু এর মাধ্যমেও সিজদার ইশারা আদায় হয়ে যায়।

রুকু ও সিজদা করতে সক্ষম হওয়ার পরও কেউ যদি শুধু আরামের জন্য অথবা মামুলি কষ্টের কারণে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করে, সামনে টেবিল রেখে সিজদা করে তাহলে তার নামাজ হবে না। কারণ চেয়ারে বসে সামনে টেবিল রেখে সিজদা করলে সিজদার ইশারা হয়, সিজদা আদায় হয় না। সিজদার সময় চেহারা ও হাতের পাশাপাশি উভয় হাঁটু জমিনের ওপর রাখাও সিজদার শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত। সিজদার সময় কপালের অংশ কোমরের অংশ থেকে নীচু থাকাও জরুরি। চেয়ারে বসে সামনের কোন কিছুর ওপর কপাল রাখলে উল্লিখিত উভয় শর্ত পাওয়া যায় না।

কেউ যদি কিয়াম, রুকু ও সিজদা স্বাভাবিকভাবে আদায়ে অক্ষম হন, কিন্তু জমিনে পা ভাঁজ করে বা লম্বা করে বসতে সক্ষম হন, তাহলে তার জন্য সঠিক ও সুন্নত পদ্ধতি হলো চেয়ারে নয়, বরং জমিনে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা। নবিজি (সা.) ও সাহাবিদের যুগেও চেয়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। কিন্তু ওই যুগে অক্ষম ব্যক্তিরা জমিনে বসে নামাজ আদায় করতেন। নামাজের সময় চেয়ারে বসার প্রচলন ছিল না।

ওএফএফ/জিকেএস

Read Entire Article