হাইকোর্টে ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমানের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন চেয়ে হাফিজুর রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আজ হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ আনিছুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আবেদনকারীর আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল দিয়ে হাফিজুর রহমানকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ফলে তার কারামুক্তিতে আপাতত বাধা নেই।’ আর যেহেতু একই মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার পর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করি হাফিজুর রহমান কার্জনও মুক্তি পাবেন। এর আগে মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করার পর বিফল হয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে জ
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন চেয়ে হাফিজুর রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আজ হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ আনিছুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আবেদনকারীর আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল দিয়ে হাফিজুর রহমানকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ফলে তার কারামুক্তিতে আপাতত বাধা নেই।’ আর যেহেতু একই মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার পর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করি হাফিজুর রহমান কার্জনও মুক্তি পাবেন।
এর আগে মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করার পর বিফল হয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাফিজুর রহমান।
এর আগে আটকের পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ছিল। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না। সকাল ১০টায় গোলটেবিল আলোচনা শুরুর কথা ছিল। তবে শুরু হয় বেলা ১১টায়।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল আসে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। এতে তাঁদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকে।
হাফিজুর রহমানের আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যে ধারায় মামলাটি করা হয়েছে, সেই অপরাধের উপাদান এজাহারে নেই। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকও ছিলেন না হাফিজুর রহমান।
মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। তার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। মূলত এসব যুক্তিতে তার জামিন চাওয়া হয়।
এফএইচ/এসএনআর
What's Your Reaction?