হাওরাঞ্চলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা

সুনামগঞ্জে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেইসঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডে নির্ধারিত শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৫৬টি শয্যা থাকলেও প্রতিদিন ১০০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি হচ্ছে। সদর হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে আসা রাজিব আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘গতকাল রাতে হঠাৎ ছেলের (৪) শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পাশাপাশি শরীরে মারাত্মক জ্বর থাকায় হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ রোগীর স্বজন আমেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুদিন ধরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তার বলেছে, মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। শুধু আমার মেয়ে না, প্রতিদিনই দেখছি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে ঠান্ডা মৌসুমে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ে। প্রতিবছর বেড শয্যা কম থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পদ

হাওরাঞ্চলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা

সুনামগঞ্জে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেইসঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডে নির্ধারিত শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৫৬টি শয্যা থাকলেও প্রতিদিন ১০০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি হচ্ছে।

সদর হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে আসা রাজিব আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘গতকাল রাতে হঠাৎ ছেলের (৪) শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পাশাপাশি শরীরে মারাত্মক জ্বর থাকায় হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’

হাওরাঞ্চলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা

রোগীর স্বজন আমেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুদিন ধরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তার বলেছে, মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছে। শুধু আমার মেয়ে না, প্রতিদিনই দেখছি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে ঠান্ডা মৌসুমে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ে। প্রতিবছর বেড শয্যা কম থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এই ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ৫৬টি। বুধবার ১২৪ জন রোগী ভর্তি ছিল। আমরা ফ্লোরে চাদর ও ম্যাট্রেস দিয়ে থাকার জায়গা করেছি।’

হাওরাঞ্চলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাওরাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িঘর টিনের। সেইসঙ্গে এই মৌসুমে শীতল বাতাস বয়ে যাওয়ায় শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে চিকিৎসক সংকট ও পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় সেবা দিতে অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

শিশুরা যাতে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত না হয়, সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

লিপসন আহমেদ/এসআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow