একটি গ্রুপ কলে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার উসকানি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন জনপ্রিয় বৈশ্বিক গণমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান সামি।
বুধবার ( ০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন।
শেখ হাসিনার আলাপন দাবি করে তার (শেখ হাসিনার) বক্তব্যের একটি অংশ স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন। স্ট্যাটাসে শায়ের বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় একটি গ্রুপ কলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। হাজারটা লাশ মাড়িয়েও যার মধ্যে এক বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা নাই, এমন একজন ব্যক্তির বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার আছে কি না, সেটা নির্ণয় করতে হবে আপনাকেই।’
এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্মরণ করেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, এই ভাঙচুর খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেয়ার ফল।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ইলিয়াস লেখেন – ‘৩২ নম্বরে যা চলছে সেটাই খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেয়ার ফল।’ এর আগে আরও একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ভাইয়েরা আমার, ৩২ নম্বরে একটা ইটও যেন অবশিষ্ট না থাকে।’
এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা। ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বঘোষিত অনলাইন বক্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে সেখানে অবস্থিত বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে ছাত্র-জনতাকে।
তার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা করেন, শেখ হাসিনা কোনো বক্তব্য দিলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৮টায় শাহবাগ থেকে এ মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও বিকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা।
সন্ধ্যা হতে হতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায় এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর শুরু করে।