হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর নাবিক নিহত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. দেলোয়ার হোসেন (২৯) নামে নৌবাহিনীর এক নাবিক প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চিকনদণ্ডী মিস্ত্রি ঘাটাস্থ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দেলোয়ার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বাগানবাজার চিকনছড়া মতিননগর এলাকার শিরু মিয়ার বাড়ির মিরাজ মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ফরিদ জানান, সকালে বিকট শব্দ শুনে দোকান থেকে বের হয়ে তিনি সড়কের ওপর গুরুতর আহত অবস্থায় নাবিক দেলোয়ারকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে পড়ে ছিল মোটরসাইকেল, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন। স্থানীয় সিএনজি চালক শাহজাহানকে সঙ্গে নিয়ে তারা তাকে প্রথমে চৌধুরীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ফরিদ আরও জানান, আহত ব্যক্তি তখন স্পষ্ট কথা বলতে পারছিলেন না, তবে অস্পষ্ট শব্দ করছিলেন। চিকিৎসক তার অবস্থাকে আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠান। পরে দ্রুত হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীদ

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর নাবিক নিহত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. দেলোয়ার হোসেন (২৯) নামে নৌবাহিনীর এক নাবিক প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চিকনদণ্ডী মিস্ত্রি ঘাটাস্থ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দেলোয়ার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বাগানবাজার চিকনছড়া মতিননগর এলাকার শিরু মিয়ার বাড়ির মিরাজ মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ফরিদ জানান, সকালে বিকট শব্দ শুনে দোকান থেকে বের হয়ে তিনি সড়কের ওপর গুরুতর আহত অবস্থায় নাবিক দেলোয়ারকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে পড়ে ছিল মোটরসাইকেল, জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন। স্থানীয় সিএনজি চালক শাহজাহানকে সঙ্গে নিয়ে তারা তাকে প্রথমে চৌধুরীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফরিদ আরও জানান, আহত ব্যক্তি তখন স্পষ্ট কথা বলতে পারছিলেন না, তবে অস্পষ্ট শব্দ করছিলেন। চিকিৎসক তার অবস্থাকে আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠান। পরে দ্রুত হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হঠাৎ ব্রেক করা বা সড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

নিহতের ভাগিনা মো. ইউসুফ (২০) জানান, দেলোয়ার প্রতিসপ্তাহে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রামের কর্মস্থলে যেতেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট এবং তার দুই বছরের সোহা নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু মৃত্যুর সঠিক কারণ তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হঠাৎ অসুস্থতা বা স্ট্রোকও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow