লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ইউপি সদস্যসহ (মেম্বার) অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য ও গেন্দুকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ (৪০), সাকিব (১৭), সৌরভ (১৮), মিনারুল (৩৮), সিরাজুল (৩৮) আবদার রহমান (৫০), জুয়েল (৩৬), সুমন (২৯), মনির (২০), কাজল (২৪) ও জিবন (১৯)।
জানা গেছে, গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সঙ্গে আতিকুল ও নূরলদের দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ওই জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন মাঠে জমায়েত হতে থাকে ও চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে আতিকুল, নূরল গংদের লোকজন ইউপি সদস্য হামিদ ও তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আহত আব্দুল হামিদ বলেন, ওই জমি আমার। আমি চাষ করেছি, ধান কেটে রেখেছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই তারা এসে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে তারা হামলা করে। এতে আমার ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হয়েছি।
অভিযুক্ত নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম বলেন, বোন জামাই জমিটি আগে থেকে ভোগ দখল করে আসছে। তারা জোরপূর্বক জমি নিজেদের দাবি করছে। আজকে আমরা ধান তুলতে গেলে তারা বাধা দেয়। তাদের কাছে জমির কাগজ থাকলে দেখাবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিউল হাসান/এএইচ/জিকেএস