হাতুড়ি দিয়ে বাক্স ভেঙে দরপত্র ছিনতাই

2 days ago 8

নওগাঁয় ইউএনও অফিসের লোকজনকে জিম্মি করে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বাক্স ভেঙে দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।  

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ইউএনও অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার জলমহালগুলোর ইজারা প্রদানের জন্য ওই দরপত্রগুলো জমা নেওয়া হচ্ছিল। 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, দরপত্র জমা দানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপরদিকে এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়শাল মাহমুদ পলাশ বাদী হয়ে দশজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার জলমহালগুলোর ইজারা প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেই মোতাবেক গত ২৯ জানুয়ারি থেকে দরপত্র জমা নেওয়া হচ্ছিল। গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। কিন্তু হঠাৎ করে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালীপুর এলাকার সাইদুল, দয়ালের মোড়ের সাজু, কোমাইগাড়ীর শাহজাহান, হাট-নওগাঁর ফারুক, কালীতলা কাঠহাটি এলাকার শ্যামল, হাট-নওগাঁর এরশাদ, মাস্টারপাড়ার হাসিবুল, দয়ালের মোড়ের নিশান, হাট-নওগাঁর আব্দুর রশিদ এবং একই এলাকার ইয়াছিন আলীসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন সদর উপজেলা পরিষদের ভেতরে প্রবেশ করে। 

তারা হাতে লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে দোতলায় ইউএনও অফিসের সামনে গিয়ে বারান্দায় রক্ষিত দরপত্র জমাদানের কাঠের বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়শাল মাহমুদ পলাশ ও এমদাদুর রহমান জুয়েলসহ এসএম সিরাজুল ইসলাম নামের অপর একজনকে একটি রুমে আটকে রাখে। এরপর তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে দরপত্র রাখা কাঠের বাক্সটি ভেঙে জমাকৃত জলমহালের সব দরপত্র বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই দিন রাতেই থানায় এজাহার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে শাহজাহান নামের এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

দরপত্র ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন। তিনি কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। দরপত্রগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। জলমহালগুলোর ইজারা প্রদানের জন্য দরপত্র জমার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ অনলাইনে সব আবেদন আছে। তাই আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

Read Entire Article