বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই একমাত্র দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনের পথে জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছে। সেই স্বপ্ন ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বাস্তবায়ন এবং একটি শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা একমাত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সম্ভব।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামবাসীর আয়োজনে কুমার নদীতে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণকালে সেলিমুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফ্যাসিস্টরা এখন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। পার্শ্ববর্তী দেশে ফ্যাসিস্টরা অফিস খুলে বসে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হবে। যাতে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিস্টের দোসররা কোনোভাবেই ষড়যন্ত্র করতে না পারে। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেলিমুজ্জামান সেলিম।
আড়পাড়া গ্রামের সমাজসেবী ওহাব তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, কাশিয়ানী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফোরকান শরীফ টিটু, সদস্য সচিব মিলন খান, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুকুল খান, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সোহেল, সমাজসেবী ইদ্রিস খানসহ অন্য অতিথিবৃন্দ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে আড়পাড়া কুমার নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচ দেখতে কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক নদীপাড়ে উপস্থিত হন। উপভোগ করেন নৌকা বাইচ। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে নৌকা বাইচ বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই দিনটির জন্য সারা বছর এলাকাবাসী অপেক্ষা করে থাকেন।