হাসিনা যে দেশের তাকে সেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে চাইলে ‘রাজাকার’ বলে গালি দেওয়া হয়। তখনি শেষ পেরেকটা মারা হয়ে যায়। আর শেখ হাসিনা যে দেশের তাকে সেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নির্বাচনে হ্যাঁ এবং না ভোট থাকবে। হ্যাঁ ভোট দিয়েই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের ফসল ঘরে তুলতে না পারলে বাংলার মানুষ অর্জিত স্বাধীনতা আবার হাতছাড়া করবে। পরিষ্কার ভাষায় আমরা বলে দিতে চাই, জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে নান্দাইলের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এ দেশের আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থিরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার জুলুম ও নির্যাতনের
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে চাইলে ‘রাজাকার’ বলে গালি দেওয়া হয়। তখনি শেষ পেরেকটা মারা হয়ে যায়। আর শেখ হাসিনা যে দেশের তাকে সেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নির্বাচনে হ্যাঁ এবং না ভোট থাকবে। হ্যাঁ ভোট দিয়েই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের ফসল ঘরে তুলতে না পারলে বাংলার মানুষ অর্জিত স্বাধীনতা আবার হাতছাড়া করবে। পরিষ্কার ভাষায় আমরা বলে দিতে চাই, জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে নান্দাইলের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এ দেশের আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থিরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার জুলুম ও নির্যাতনের টার্গেটে পরিণত হয়েছিল। আমরা ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জীবন দিয়েছি। পাখির মতো গুলি করে মেরে লাশ গুম করা হয়েছিল।
শেখ মুজিবের সমালোচনা করে মামুনুল হক বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থেকে মুক্ত হয়ে তিনি লন্ডনে চলে যান। ওই সময় বাংলার জনগণ আশা করেছিল তিনি সরাসরি বাংলার মাটিতে এসে জনতার কাতারে গিয়ে জনতাকে আশার বাণী শোনাবেন। কিন্তু তিনি সেখান থেকে ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে একটি চিরকুট নিয়ে দেশে আসেন। পরে দিল্লির কথামতো সংবিধান তৈরি করেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর বন্দি রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা নির্যাতন সহ্য করেছি, তবু দেশ ও ইসলামের প্রশ্নে আমরা মাথানত করি নাই। দেশ, স্বাধীনতা ও ইসলামের প্রশ্নে আমরা কোনো অপশক্তির সামনে মাথা নত করবো না ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, এ দেশের তামাম ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী, বিদেশি আধিপত্যবাদবিরোধী বিপ্লবের প্রতিটি অর্জন ঘরে তোলার জন্য খেলাফত মজলিস সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে। আগামী দিনে যদি খেলাফত মজলিস ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবকিছু করতে পারবেন।
এ সময় খেলাফত মজলিসের নান্দাইল উপজেলা সভাপতি ও ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা শামছুল ইসলাম রহমানির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি হেদায়াতুল্লাহ হাদী, কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের নান্দাইলের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এএমএ
What's Your Reaction?