হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের ঐতিহাসিক রায় দেওয়া হয়েছে এবং তা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির বলে মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সংগঠনটি বলে, জুলাই অভ্যুত্থান-উত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের দীর্ঘদিনের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির। বার্তায় বলা হয়, ‘জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী শক্তি ও নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ পালিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত যে নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল এই খুনি হাসিনা। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, এই ঐতিহাসিক রায় ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। অবশ্যই এটাও মনে রাখতে হবে, এ রায় কেবল ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং আগামী দিনের জন্য নজিরও
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের ঐতিহাসিক রায় দেওয়া হয়েছে এবং তা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির বলে মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি বলে, জুলাই অভ্যুত্থান-উত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের দীর্ঘদিনের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির।
বার্তায় বলা হয়, ‘জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী শক্তি ও নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ পালিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত যে নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল এই খুনি হাসিনা। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, এই ঐতিহাসিক রায় ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। অবশ্যই এটাও মনে রাখতে হবে, এ রায় কেবল ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং আগামী দিনের জন্য নজিরও বটে। অর্থাৎ জুলাই-উত্তর আগামীর বাংলাদেশে কেউ যেন আর ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে, তার আগাম বার্তা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও জানায়, কেবল শেখ হাসিনার বিচারই নয়, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে যারা নানাভাবে ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছেন এবং গত দেড় দশকে বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও হামলা-মামলায় জড়িত ছিলেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা, দায় ও অপরাধকেও বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।
বার্তায় বলা হয়, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত সম্ভব কেবল এই রায় দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমেই। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পলাতক ও গণহত্যাকারী হাসিনা এবং অন্য আসামিকে ইন্টারপোলের সহযোগিতা ও বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ঘোষিত রায় চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার আহ্বান জানাচ্ছে।’
জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এনএস/একিউএফ/জেআইএম
What's Your Reaction?