স্বাক্ষরিত পত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছার আগে বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যাওয়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নতুন ঘটনা নয়। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ তেমন এক পত্র প্রকাশ্যে আসার পর তৈরি হয়েছে বিব্রতকর অবস্থা। সেটা স্ববিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং আপত্তিকর ভাষার জন্য। যে কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
৪ ডিসেম্বর এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) মো. শামছুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে লেখা হয়েছে, ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটি’ শব্দটি। এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক হাসাহাসি হয়েছে। গত মাসে এনএসসি যে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেছে, সে কমিটিকে ‘বিতর্কিত’ বলাটা স্ববিরোধী বটে। এ কারণে দাপ্তরিক পত্র যোগাযোগের বিষয়ে পরিচালক (ক্রীড়া) মো. শামছুল আলমকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতীতেও উল্লিখিত কর্মকর্তাকে অভ্যন্তরীণ পত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাবেক তিন নির্বাহী কমিটির সদস্য, একজন সাবেক খেলোয়াড় এবং তিনজন ক্লাব প্রতিনিধি মিলে কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে লেগেছেন। গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন তারা। সম্প্রতি উল্লিখিতরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক এবং প্রেস কর্মীদের সমন্বয়ে ২৫-২৬ জনকে নিয়ে এক মানববন্ধন করেন।
মানবন্ধনের আগে দাবি করা হয়েছিল, অধিকাংশ ক্লাব কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। আদতে বিচ্ছিন্ন দু-একজনকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা নিয়ে ক্রীড়া প্রশাসনের শীর্ষ মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা দমনে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তারা যে অভিযোগ উত্থাপন করছেন, তা স্পষ্ট নয়। অভিযোগের পক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও নেই।
কাবাডি ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি অনুসন্ধানের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন খেলাটি সংশ্লিষ্টরা। এ সম্পর্কে অ্যাডহক কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনির হোসেন বলছিলেন, ‘এখানে তো লুকোচুরির কিছু নেই। কী কাজ হয়েছে, কীভাবে হয়েছে—সবাই জানেন। আমরাও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই।’
এদিকে বুধবার ক্লাব প্রতিনিধি, তৃণমূল সংগঠক, রেফারি, কোচ, সাবেক খেলোয়াড়সহ কাবাডি সংশ্লিষ্টরা একত্রিত হয়েছিলেন। কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে কাবাডি সংশ্লিষ্টরা জড়ো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। দ্রুতই কাজ শুরুর বিষয়ে আলোচনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।