লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়ার কথা জানান। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত লেবাননকে জানানো হয়েছে।
সম্ভাব্য মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। একে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরায়েল সংলগ্ন দক্ষিণ লেবানন, বিশেষ করে লিতানি নদীর দক্ষিণে হিজবুল্লাহর কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন।
ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও লেবাননের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যদিও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে, তবে তেল আবিব যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মূল নীতিগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহপ্রধান নাইম কাশেম জাানান, যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকার প্রস্তাব তারা পর্যালোচনা করেছেন ও সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, বল এখন ইসরাইলের কোর্টে। এছাড়া লেবানন সরকারও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, সম্ভাব্য এই চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। অন্যদিকে, বৈরুতে ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সূত্র: আনাদোলু, টাইমস অব ইসরায়েল
এসএএইচ