হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিন্দিভাষী মুখপাত্র কী বলছেন

2 weeks ago 7

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত সহিংসতার দাবিতে সরব ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভও হয়েছে। এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিন্দিভাষী মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিয়ড। 

শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষত হিন্দুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ বিষয়টিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জন বলে উল্লেখ করে আসছেন। তবে এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিন্দিভাষী মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিয়ড বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, অঞ্চলের প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ তার অংশীজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর আগে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের এ নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোনো আইনজীবী তার পাশে দাঁড়াননি। কেননা তার আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে যারা আটক রয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বজায় রেখে আচরণ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি এবং অব্যাহত জোর দিচ্ছি।

এ সময় জানতে চাওয়া হয়, ব্রিটিশ এমপি ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি প্যাটেল পার্লামেন্টে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগতভাবে এবং কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না।

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমাদের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সবার সম্মান থাকা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যে কোনো ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। এমনকি কোনো ধরনের ক্র্যাকডাউনের বিষয়েও সরকারের আইনের শাসনকে সম্মান জানানো উচিত। এর অংশ হিসেবে মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি।
 

Read Entire Article