হিলি বন্দরে আমদানি করা দুই হাজার সাতশ ১৯ মেট্রিক টন চাল খালাস করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। শুল্কায়ন জটিলতায় চারদিন ধরে এসব চাল ট্রাকেই রয়েছে। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে চাল বোঝায় ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক অপেক্ষমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে চালের আমদানির অুনমতি দেয় সরকার। কিন্তু আমদানিকৃত চালের উপর বাংলাদেশ সার্ভারে এখনো ৬৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ রয়েছে। ফলে আমদানি করা চালে শুল্কায়ন, ভ্যাট, বন্দর খরচ দিয়ে প্রতিকেজি প্রায় ৯০ টাকা পড়ছে।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও গত ১৫ এপ্রিলে আমদানি বন্ধ হয়। তবে ১২ আগস্ট থেকে পুনরায় আমদানি শুরু হয়।
বন্দরের তথ্যানুযায়ী, সারাদেশের ২৪২ আমদানিকারক পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য বরাদ্ধ দেয় সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে হিলি দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরে তিনদিনে চাল আমদানি হয়েছে দুই হাজার সাতশ ১৯ মেট্রিক ট্রন।
খালাসের বিষয়ে জানতে চাইলে চাল আমদানিকারক নুরুল ইসলাম জানান, সরকার অনুমতি দেওয়ায় ভারত থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু এনবিআর সার্ভারে এখনো শুল্ক কমানো হয়নি, সার্ভারে ৬৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ রয়েছে, যদিও এনবিআর গত বছর চাল আমদানিতে ২ শতাংশ শুল্কারোপ করে।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ বিপুল জানান, এনবিআরের সার্ভারে এখন ৬৬ শতাংশের শুল্কায়ন দিয়ে চাল খালাসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতো লোকশান দিয়ে যদি চাল খালাস করলে সরকারের আমদানির উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। বাজারে অস্থিরতা বাড়বে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, হিলি বন্দরে চাল আমদানি শুরু হলেও তা এখনো কেউ ছাড়করণ করেননি। কেউ যদি ছাড়করণ করতে চায় তাহলে ৬২.২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে করতে পারবেন।
মো. মাহাবুর রহমান/এএইচ/জেআইএম