হুবহু মানুষের মতো কথা বলছে কাক

3 hours ago 7

খাঁচায় বন্দি বড় একটি দাঁড়কাক। তার ভেতরেই রয়েছে ছোট্ট একটি ঘর। ছোট ঘরের বাসিন্দা হলেও কাকটি কিন্তু বেশ বড় সেলিব্রেটি। কাকটির ইন্টারভিউ নিতে হাজির হয় অনেকে। অবশ্য কাউকে হতাশ করে না কাকটি। হুবহু মানুষের মতো কথা বলে তাক লাগিয়ে দেয়। ফোনের জবাব দিতে পারে। আবার মজার কোনো জোকস শুনে উচ্চস্বরে হাসতে পারে কাকটি। এমনকি বড়াই করতেও ভালোবাসে সে।

পাখি হলেও অত্যন্ত মেধাবী এই কাক। সে রাশিয়ার মস্কোর কাছে কাশিরার কোভচেগ অ্যানিমেল স্টুডিওর বাসিন্দা। তার নাম কারলুশা। পাখিটি অবিকল মানুষের মতো কথা বলতে পারে। 

এই স্টুডিওর প্রধান আনা পোনোমারেভা জানান, কারলুশা প্রথমবার যখন কথা বলে ওঠে তখন চিড়িয়াখানার কর্মী হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ কারলুশা ওই কর্মীর নাম ধরে ডেকেছিলেন। তাও আবার স্টুডিও প্রধানের কণ্ঠস্বর নকল করে।

শুরু থেকেই স্টুডিও প্রধানের কণ্ঠস্বর বেছে নেয় কারলুশা। কেউই পাখিটিকে কথা বলা বা অনুকরণ করা শেখায়নি। পোনোমারেভা বলছিলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ বেশ আমুদে মুডে রয়েছে কারলুশা। তার মুখ থেকে বের হওয়া প্রথম শব্দ ছিল পাশা। আর এটা সে চিৎকার করেই বলেছিল। কারণ পোনোমারেভা এভাবেই উচ্চস্বরে তার কর্মীদের ডেকে থাকেন। তবে কারলুশার মুখ থেকে নিজের নাম শুনে ওই কর্মী বেশ ভয়ও পেয়ে গিয়েছিল।

১৭ বছর বয়সী কারলুশা খুব নিখুঁতভাবে কণ্ঠস্বর নকল করতে পারে। শুধু কণ্ঠস্বরই নয় ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী কোথায় কতটুকু জোর দিয়ে কথা বলতে হবে সেটিও জানে। এমনকি মাঝে মাঝে কারলুশার কণ্ঠে নিজের নাম শুনে পোনোমারেভাও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেলিব্রেটি এই পাখিকে টিভির পর্দায়ও দেখা গেছে। এ নিয়ে মজার ঘটনাও রয়েছে। দ্য ভ্যাম্পায়ার্স অব মিডল্যান্ড সিরিজের সেটে রুশ অভিনেতা ইউরি স্তোইয়ানভের করা জোকস শুনে হেসে ওঠে কারলুশা।

কারলুশার মধ্যে একটা আভিজাত্যের ভাব রয়েছে। আবার সে খুব একরোখাও। পোনোমারেভা ছাড়া কারও কথাই সে শোনে না। কেউ কাছে গেলেই তাকে ঠোকর মারে। পোনোমারেভা ছাড়া কাউকে ঘেঁষতে দেয় না সে। 

অবসর সময়ে কারলুশার সবচেয়ে পছন্দের কাজগুলোর একটি হচ্ছে খাবার নিয়ে খেলা করা। আবার সামনে খাবার পেয়েই দ্রুত খেতে শুরু করে না কারলুশা। বরং এটা তার কাছে বিনোদন। অবশ্য কারলুশা ছাড়াও চিড়িয়াখানার অন্য প্রাণীরাও সেলিব্রেটি। তাদেরও দেখা যায় টিভির পর্দায়। 

 

Read Entire Article