হেঁটে ছেড়াদ্বীপ থেকে তেঁতুলিয়ায় জাফর

1 month ago 16

নিরাপদ সড়কের সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে হেঁটে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পৌঁছলেন জাফর সাদেক নামে এক ভ্রমণকারী। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে এক হাজার কিলোমিটার হেঁটে ভ্রমণ শেষ করেন জাফর সাদিক। এ সময় বাংলাবান্ধায় অবস্থান করে জাফর সাদিকের সহকর্মীরা অভ্যর্থনা জানান।

জাফর সাদেক পেশায় একজন ব্যাংকার। ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত এলব্রুস এবং আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারোসহ হিমালয়ের বেশ কিছু পর্বতে অভিযান করেছেন তিনি।

জাফর সাদেক কালবেলাকে বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্র সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ শুরু করি। ২১ দিনে হেঁটেছি ১৩টি জেলা। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। শনিবার বাংলাদেশের উত্তরের তেঁতুলিয়ায় এক হাজার কিলোমিটার হেঁটে ভ্রমণ শেষ করেছি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ পথযাত্রায় মহাসড়কে অনেক বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে। হাঁটতে হাঁটতে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তাদের সঙ্গে নিরাপদ সড়ক বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই জনবহুল দেশে মহাসড়কগুলো যেন এক মরণফাঁদ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। চলার পথে এমন ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি।

এ ভ্রমণকারী বলেন, মহাসড়কের পাশে যাদের বসবাস তাদের চলাচলের জন্য অধিকাংশ স্থানেই কোনো রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলছে। এর ফলে দূরপাল্লার যানবাহন চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেন থাকলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। দুর্ঘটনারোধে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। আমার এ পথযাত্রার অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে নিরাপদ সড়ক চাওয়া। যাতে মানুষ নিরাপদে বাঁচে। সুস্থতার জন্য মানুষ প্রতিদিন হাঁটে, ব্যায়াম করে। জীবনের জন্য ভ্রমণ করে নিজেদের জানতে পারে।

Read Entire Article