ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে (সিপিএল) কোয়ালিফায়ার-২ এ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সেন্ট লুসিয়া কিংসকে ৫৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
এর আগে কোয়ালিফায়ার-১ এ সেন্ট লুসিয়াকে ১৪ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। আগামী সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিপিএল-২০২৫ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে গায়ানার মুখোমুখি হবে নাইট রাইডার্স।
বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার সকালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে নাইট রাইডার্সের হয়ে ফিফটি হাঁকান অ্যালেক্স হেলস ও নিকোলাস পুরান। তাদের দুর্দান্ত অর্ধশতকে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের বিশাল পুঁজি পায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সেন্ট লুসিয়া তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান। মূলত উসমান তারিকের ৪ ও সুনিল নারিনের ৩ উইকেট শিকার সেন্ট লুসিয়াকে ফিনিশের লাইনের অনেক দূরে থাকতেই থামিয়ে দেয়।
ব্যাট করতে নেমে নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক কলিন মুনরো মাত্র ৬ রানে বিদায় নেন। এরপর হেলস ও পুরান দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন। পুরান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক, আর হেলস কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করছিলেন। পরে দুজনই রান তোলার গতি বাড়ান।
পুরান ফিফটির মাইলফলক ছোঁয়ার পর (৩২ বলে ৫০) বল মিস করে বোল্ড হন রস্টন চেজের বলে। এরপর কাইরন পোলার্ড তেবরিয়াজ শামসিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন।
শামসির শেষ ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে নাইট রাইডার্সের রানরেট বাড়িয়ে দেন পোলার্ড। হেলসও দুই ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন হেলস।
পোলার্ড (২৬ বলে ৩৫) আউট হন জোসেফের বলে। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেল ডেভিড ভিসেকে ৬, ৬, ৪, ৬ মেরে ১২ বলে ২৮ রানের দাপুটে ইনিংস খেলেন, যা নাইট রাইডার্সকে ম্যাচের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
লক্ষ্য তাড়ায় টিম সেইফার্ট শুরু থেকেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে সেন্ট লুসিয়াকে ভালো সূচনা এনে দেন। কিন্তু পঞ্চম ওভার থেকে নারিন ও আকিল হোসেন স্পিনে আক্রমণে এসে সেন্ট লুসিয়ার রানরেট চেপে ধরেন।
জনসন চার্লস ধীরগতির ইনিংস খেলতে খেলতে ২৪ বলে ১৭ রানে পোলার্ডের শিকার হন। এরপর টিম ডেভিড সামান্য প্রতিরোধ গড়লেও উসমান তারিক এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত করে দেন। ডেভিডও শেষ পর্যন্ত নারিনের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৮ রানে থেমে যায় সেন্ট লুসিয়া।
এমএইচ/এমএস