রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) হোটেলে রুম না পেয়ে মসজিদ, ক্লাবঘরসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে রাত কাটাতে হচ্ছে সাত শতাধিক পর্যটককে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। এসব কক্ষে প্রায় ৪ হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কক্ষ অগ্রিম বুকিং না নিয়ে অন্তত হাজার খানেক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে যান। এর মধ্যে কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে যান। সাজেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য প্রায় সাত শতাধিক পর্যটক রাতে রয়ে যান। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এসব পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টোরকক্ষ ও ক্লাবঘরে যে যেভাবে পারছেন, রাত কাটাচ্ছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। কক্ষ না পেয়ে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক বিভিন্ন সময় ফিরে গেছেন। শুক্রবারও সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেলেও, অনেকে অগ্রিম বুকিং না নিয়ে চলে এসেছেন। যার কারণে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে তাদের স্থানীয় বাসাবাড়িতে, ক্লাবঘরে, মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।
সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন কালবেলাকে বলেন, আজ সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। কক্ষ বুকিং না নিয়ে প্রায় সাত শতাধিক পর্যটক সাজেকে এসেছেন। তাদের ক্লাবঘর, মসজিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। সাজেকে ঘুরতে আসতে যারা চান তাদের প্রতি আহ্বান রাখবো তারা যেন অগ্রিম বুকিং নেন।