১ মাস আগে থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন ওসমান হাদী
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার আগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি হুমকির মধ্যে ছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন। ওসমান হাদীর দাবি অনুযায়ী, বিদেশি নম্বর থেকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল ও টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, গত তিন ঘণ্টায় “লীগের খুনিরা” অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে তাকে ফোন ও বার্তা পাঠিয়েছে। তিনি লিখেছিলেন, এসব বার্তার সারসংক্ষেপ হলো—তাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে, তার বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে, তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাকেও হত্যার কথা বলা হয়েছে। হুমকির সেই পোস্টে হাদী আরও লিখেছিলেন, “১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়—ইনসাফের এই লড়াই থেকে আমি এক চুলও নড়ব না, ইনশাআল্লাহ।” তিনি আরও লিখেছিলেন, “এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে দেশে। এক হাদীকে হত্যা করা হলে তাওহিদের এই জমিনে আল
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার আগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি হুমকির মধ্যে ছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন।
ওসমান হাদীর দাবি অনুযায়ী, বিদেশি নম্বর থেকে তার মোবাইলে একাধিকবার কল ও টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, গত তিন ঘণ্টায় “লীগের খুনিরা” অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে তাকে ফোন ও বার্তা পাঠিয়েছে।
তিনি লিখেছিলেন, এসব বার্তার সারসংক্ষেপ হলো—
তাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে, তার বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে, তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাকেও হত্যার কথা বলা হয়েছে।
হুমকির সেই পোস্টে হাদী আরও লিখেছিলেন, “১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়—ইনসাফের এই লড়াই থেকে আমি এক চুলও নড়ব না, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও লিখেছিলেন, “এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে দেশে। এক হাদীকে হত্যা করা হলে তাওহিদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদী তৈরি করবেন। স্বাধীনতার এই ক্রুদ্ধ স্বরকে রুদ্ধ করা যাবে না।”
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে তিনি লেখেন, “লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহিদি মৃত্যু চাই।”
পরিশেষে তিনি তার পরিবার ও সংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদের আল্লাহর কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।”
What's Your Reaction?