জামালপুরে ঘুস-হয়রানি ছাড়া মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ৬৭ তরুণ-তরুণী।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টায় জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় নিয়োগপ্রাপ্তদের কাতারে নিজেদের নাম শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভবিষ্যৎ পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকরা। এরপর নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় টাকা-পয়সা ছাড়া যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তারা।
সদর উপজেলার দখলপুর গ্রামের ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসেছি, শারীরিক, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছি। এরমধ্যে কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
ইসলামপুর উপজেলার শেখ শোহান বলেন, এভাবে চাকরি হবে বুঝতে পারিনি। আমার পরিবারের কোনো সক্ষমতা নেই যে চাকরির জন্য টাকা দেবে। তার ওপরে এমন কেউ পরিচিতও নেই যে আমার জন্য সুপারিশ করতে পারে। সাহস নিয়ে আবেদন করেছিলাম। চাকরি হয়েছে। এখন দেশের সেবা করতে চাই।
বকশিগঞ্জ উপজেলার সাতভিটা গ্রামের রশিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, আমি পেশায় একজন দিনমজুর। আমার মেয়ের চাকরি হয়েছে। কোনো প্রকার ঘুষ-সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের টাকা লেনদেন বা অনিয়ম রোধে সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।
এবার অনলাইনে আবেদন ও যাচাই-বাছাই শেষে ২০০ জনের শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে ৬৭ জন নিয়োগ পেয়েছেন। এরমধ্যে ৬০ জন ছেলে ও সাতজন মেয়ে রয়েছেন। মোট আবেদন করেছিল পাঁচ হাজার ৭০০ জন।
আরএইচ/এমএস