সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভির শাকিল জয় এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১ হাজার ২০৮ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংশ্লিষ্ট এসব ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (৩০অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,
আদালতের মাধ্যমে তানভীর শাকিল জয়, তার মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীসহ অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য জানিয়ে জসীম উদ্দিন খান বলেন, তানভির শাকিল জয় প্রতারণা, জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে উক্ত বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তানভির শাকিল জয়, তার স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, ভাই তমাল মনসুর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে মোট ৯৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব হিসাব খোলার সময়কাল থেকে হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, উক্ত অ্যাকাউন্টগুলোতে ১ হাজার ২০৮ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। তানভির শাকিল জয় ও তার ভাই তমাল মনসুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পে টেন্ডার জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, বালু উত্তোলন ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ বিত্ত-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসে। এসব অবৈধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হিসেবে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সিআইডি জানায়, বর্তমানে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে মানিলন্ডারিং (অর্থপাচার) অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেআর/এমএমকে/জিকেএস

5 hours ago
7









English (US) ·