১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

2 weeks ago 11

দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহীর দুর্গাপুরে ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিম পাউডার) স্প্রে কওে ফুলকপি পচে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। ফলে নতুন করে ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিনি হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাষিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ অর্থ দেওয়া হয়। 

এর আগে ‘কৃষকের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা’ শিরোনামে গত ৭ নভেম্বর কালবেলায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের সূত্র ধরেই ক্ষতিপূরণ পেলেন কৃষকরা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, ব্লেসিং গ্রুপের হেড অব বিজনেস আল আমিন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোজাম্মেল হোসেন ও রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার  জহুরুল হক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন কালবেলাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৩ জন চাষীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির পক্ষ থেকে ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। আশাকরি চাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে এবং পুনরায় চাষাবাদ করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী কালবেলাকে বলেন, কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  এমনকি নিউজিম পাউডার অপর একটি ফুলকপি ক্ষেতে স্প্রে কওে দেখা হয়। তাতে নিউজিম পাউডারের মান ত্রুটিপূর্ণ মনে হয়েছে। বিষয়টি ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির লোকজনকে জানালে তারা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত চাষী শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিম পাউডার) কিনে ফুলকপিতে স্প্রে করেছিলাম। পরে পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষেতেই ফুলকপি পচে নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের তড়িৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। এতে করে আমরা পুনরায় চাষাবাদ করতে পারবো। 

উল্লেখ্য, ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিম পাউডার) স্প্রে করে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার ১৩ জন চাষীর প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে থাকা ফুলকপি পচে নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনার পর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।

Read Entire Article