ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে যেভাবে খেলা এগিয়েছে টাইগারদের, তাতে মনে হয়েছে দলীয় সংগ্রহ তিনশ পেরিয়ে যাবে সংগ্রহ। কিন্তু মাঝের দিকে উইকেট পতনের পাশাপাশি রানের গতিও কমতে থাকে বাংলাদেশের। এক পর্যায়ে ১৯৮ রানে ৫ উইকেট হারানো সফরকারীদের ২৫০ রান করাই শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিকের ৯৬ রানের দুর্দান্ত জুটিতে শেষ পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহ ২৯৪ করতে পারে বাংলাদেশ। তাতে অবশ্য কাঙ্ক্ষিত জয়টি পায়নি মিরাজের দল। ক্যারিবীয়রা প্রথম ওয়ানডে জিতেছে ৫ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই।
বাংলাদেশ যদি তিনশোর্ধ্ব রান করতে পারতো, সেক্ষেত্রে লড়াইটা এত সহজ হতো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। কেন ৩০০ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ, তার দায় ডট বলকে দেওয়া যায়।
গতকাল রোববার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে মোট ১৫৫টি। মানে হলো- ইনিংসের অর্ধেকের বেশি বলই হয়েছে ডট। রান হয়েছে বাকি ১৪৫ বল থেকে। ডট বলের হার যদি আরও কমে আসতো, সেক্ষেত্রে অতি সহজেই তিনশ ছাড়াতে পারতো বাংলাদেশের সংগ্রহ।
তবে রান নিয়ে আক্ষেপ নেই অধিনায়ক মিরাজের। ২৯৪ রান নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট। ম্যাচ শেষে এমনটিই জানান টাইগার অধিনায়ক। মিরাজ কৃতিত্ব দেন ম্যাচ জেতানো ১১৩ রানের ইনিংস খেলা শারফেন রাদারফোর্ড ও ৮৬ রান করা শাই হোপকে।
মিরাজ বলেন, ‘(স্কোর নিয়ে) হ্যাঁ, আমরা সন্তুষ্ট। এমন পিচে ২৯৪ খুব ভালো স্কোর। হোপ ও রাদারফোর্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা জুটি গড়েছে। বোলাদের জন্য দিনটা কঠিন ছিল।’
শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ৮.১ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগার বোলাররা। মাঝের দিকে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের দৃঢ়তা আর মারমুখি ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। সময়মতো উইকেট নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানারা।
হারের কারণে হিসেবে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট না পাওয়াকেই দায়ী করেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। বিশেষ করে নাহিদ, তাসকিন ও তানজিম। ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু এরপর মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। উইকেট পাইনি। এটা হতেই পারে। পিচে এখনো দেখে ভালো মনে হচ্ছে এবং ওরা ভালো খেলেছে।’
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু থেকেই শিখবো। আমরা কিছু ভুলও করেছি। পরের ম্যাচে কীভাবে ভালো করা যায় সেদিকে মনোযোগী হবো। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি, তাই আমার মনে হয় ভালো সুযোগ আছে।’
এমএইচ/জিকেএস