সিলেট ও বান্দরবানের ১৭টি পাথর কোয়ারি পরিবেশবান্ধব টেকসই ইকো-ট্যুরিজম হিসেবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না।
জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোবাবর (২৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বেলা’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না এবং রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ এরশাদুল বারী খন্দকার।
আরও পড়ুন:
- সাদা পাথর হরিলুটে জড়িতদের কোনো ছাড় নয়: জনপ্রশাসন সচিব
- লুট হওয়া সাদা পাথর নিজ খরচে ফিরিয়ে দিতে আলটিমেটাম
- ভোলাগঞ্জের লুট হওয়া সাদা পাথর ডেমরায় জব্দ
এ ছাড়া রুলও জারি করেছেন আদালত। জারি করা রুলে উল্লেখিত পাথর কোয়ারিগুলোকে কেন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা এবং পরিবেশবান্ধব টেকসই ইকো-ট্যুরিজম হিসেবে রক্ষা ও ব্যবস্থাপনার নির্দেশ প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
রুল জারির পাশাপাশি আদালত পাথর কোয়ারিগুলো থেকে ধ্বংসাত্মক, ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও অপসারণের কার্যক্রম যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিবাদীগণকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট ও বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসককে পরিবেশবান্ধব টেকসই ইকো-ট্যুরিজম বিকাশের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পাথর কোয়ারি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে প্রণয়নের নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
গত ২৭ এপ্রিল, বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক সভায় সিলেটের পাথর কোয়ারি সংলগ্ন এলাকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে জেলা প্রশাসন কর্তৃক একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আইন, আদালতের আদেশ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন, আহরণ ও অপসারণ অব্যাহত থাকলে তা বন্ধে বেলা রিট মামলা দায়ের করে।
রিটে বিবাদীরা হলো, ভূমি মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় (জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (জন নিরাপত্তা বিভাগ), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক. সিলেট জেলার বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট ও বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
এফএইচ/এসএনআর/এমএস