লিওনেল মেসির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার যে অন্তিম পর্যায়ে চলে এসেছে, তার আরও একটি আলামত মিললো। দুই এক বছর আগেও সেরাদের কোনো তালিকা করা হলে মেসির নাম থাকতোই। কিন্তু এরপর থেকে এক এক করে সেরাদের তালিকা থেকে বাদ পড়েই যাচ্ছেন মেসি। সর্বশেষ বৈশ্বিক ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রোর বিশ্বসেরা একাদশ থেকেও বাদ পড়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
২০০৬ সাল থেকে টানা ১৭ বছর ফিফপ্রোর সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন মেসি। তাই বলা যায়, মেসিবিহীন ফিফপ্রোর নতুন ভার্সন শুরু হলো ২০২৪ সাল থেকে। এই ভার্সনে মেসির জায়গা দখল করেছেন আরলিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা।
মেসি একাই নন, সেরা ১১ জনের দলে জায়গা পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। এর আগে গেল মৌসুমের ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা যুগের দুই কিংবদন্তি।
মেসি-রোনালদো অবশ্য শিরোনাম হয়েছিলেন ফিফপ্রো সেরা একাদশের জন্য ২৬ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম দিয়েই। কারণ, ইউরোপের বাইরে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে কেবল এই দুজনই তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন।
বিশ্বের পেশাদার ফুটবলারদের ভোটে নির্বাচিত একাদশে দেখা গেছে গত মৌসুমে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির একক আধিপত্য।
একাদশে জায়গা পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের মোট ৬ জন ফুটবলার। এর মধ্যে ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে অবসর নেওয়া জার্মান ফুটবলার টনি ক্রুসও আছেন। আর ম্যানসিটি থেকে জায়গা পেয়েছেন ৪ জন। বাকি একজন লিভারপুলের ভিরগিল ফন ডাইক।
ক্রুস ছাড়া রিয়ালের বাকি ফুটবলার হলেন- দানি কারভাহাল, আন্তোনিও রুডিগার, জুড বেলিংহ্যাম, কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ম্যানসিটির চারজন হলেন- এডারসন, কেভিন ডি ব্রুইনা, আরলিং হালান্ড ও ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রি।
এদের মধ্যে প্রথমবার ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পেলেন- কারভাহাল, রুডিগার, এডারসন ও রদ্রি। সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ১৭৬টি ভোট পেয়েছেন বেলিংহ্যাম।
পুরুষদের মতো নারীদের বর্ষসেরা একাদশও খুঁজে নিয়েছে ফিফপ্রো। নারী ও পুরুষ দুই ক্যাটাগরির বর্ষসেরা একাদশ নির্বাচন করতে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ৭০টি দেশের ২৮ হাজারের বেশি ফুটবলার।
পুরুষদের বিশ্বসেরা একাদশ
গোলরক্ষক: এডারসন (ম্যানচেস্টার সিটি, ব্রাজিল)
ডিফেন্ডার: দানি কারভাজাল (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন), ভিরগিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস), আন্তোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি)
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানসিটি, বেলজিয়াম), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি), রদ্রি (সিটি, স্পেন)
ফরোয়ার্ড: আরলিং হালান্ড (ম্যানসিটি, নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপে (প্যারিস সেন্ট জার্মেই/রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল)
নারীদের বিশ্বসেরা একাদশ
গোলরক্ষক: মেরি ইয়ার্পস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/প্যারিস সেন্ট জার্মেই, ইংল্যান্ড)
ডিফেন্ডার: লুসি ব্রোঞ্জ (বার্সেলোনা/চেলসি, ইংল্যান্ড), ওলগা কারমোনা (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন), অ্যালেক্স গ্রিনউড (ম্যানসিটি, ইংল্যান্ড)
মিডফিল্ডার: আইতানা বনমাতি (বার্সেলোনা, স্পেন), অ্যালেক্সিয়া পুটেলাস (বার্সেলোনা, স্পেন), কেইরা ওয়ালশ (বার্সেলোনা, ইংল্যান্ড)
ফরোয়ার্ড: বারব্রা বান্দা (সাংহাই শেংলি/অরল্যান্ডো প্রাইড, জাম্বিয়া), লিন্ডা কেসেডো (রিয়াল মাদ্রিদ, কলম্বিয়া), লরেন জেমস (চেলসি, ইংল্যান্ড), মার্তা (অরল্যান্ডো প্রাইড, ব্রাজিল)
এমএইচ/জিকেএস