২২ রানের মধ্যে বিদায় মুমিনুল-মুশফিকের

3 hours ago 5

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা ভরসা করেছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের উপর। অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটারও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। দুজনই খেলতে চেয়েছিলেন মারমুখী হয়ে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো। দ্রুতই বিদায় নিতে হলো তাদেরকে।

মুমিনুল-মুশফিক দুজনই ফিরেছেন ১৩ রান করে। আবার দুজনই হয়েছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার। দলীয় ১২৪ রানে অশ্বিনের বলে বোল্ড হন মুমিনুল। দলীয় স্কোরকার্ডে ২২ রান যোগ হতেই আউট হন মুশফিক। আগের বলে ছক্কা হাঁকানো এই ডানহাতি ব্যাটার পরের বলে মিডঅনে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ হন।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫১ অপরাজিত আর ৫ রান নিয়ে খেলছেন সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭ রান।

ভারতের ৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। ৬২ রানের জুটি করেছিলেন তারা। কিন্তু ১৭তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে তৃতীয় স্লিপে যসস্বি জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ হয়ে যান জাকির। ৪৭ বলে ৩৩ রানে করেন বাংলাদেশ ওপেনার।

পিচে সেট হয়ে আউট গিয়েছিলেন ওপেনার জাকির হাসান। তার দেখানো পথে হাঁটলেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। ৬৮ বলে ৩৫ রান করে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে শর্ট মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ হন তিনি। দলীয় ৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে আজ শনিবার ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে রান তুললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন আগের দিনে অপরাজিত ব্যাটার গিল ও রিশাভ পান্ত। মারকুটে ব্যাটিংয়ে সঙ্গে কিছু ভুল শটও খেলেছিলেন তারা। তাদের সেই ভুল ক্যাচ মিসের মাধ্যমে ক্ষমা করে বাংলাদেশ।

তাসকিন আহমেদের করা ৩৫তম ওভারে গিলের ক্যাচ ফেলে দেন তাইজুল ইসলাম। এরপর ৪৯তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে মিড-উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারেন পান্ত। আকাশে ভাসতে থাকা বল তালুতে জমার করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পেলেও ব্যর্থ হন শান্ত। জীবন পেয়ে পান্ত ও গিল, দুইজনই সেঞ্চুরি হাঁকান।

চতুর্থ উইকেটে ১৬৭ রানের বিশাল জুটি করেন পান্ত-গিল। অবশেষে ভারতের এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় দিনে এটিই বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের একমাত্র প্রাপ্তি। সেঞ্চুরি হাঁকানো রিশাভ পান্তকে নিজের হাতের ক্যাচ বানান ডানহাতি টাইগার স্পিনার। ১২৮ বলে ১০৯ রান করেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৩ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান পান্ত।

৪ উইকেটে ২৮৭ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এতে স্বাগতিকদের লিড হয়ে যায় ৫১৪ রানের। রোহিত শর্মার ইনিংস ঘোষণার সময় ক্রিজে ছিলেন শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুল। গিল ১১৯ রানে ও রাহুল খেলছিলেন ২২ রান নিয়ে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করে ভারত। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও তা করেনি ভারত।

এমএইচ/জিকেএস

Read Entire Article