২২৭ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ প্লেনের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০–এর অনুসন্ধান আবার শুরু হতে যাচ্ছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হবে। ২০১৪ সালে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ প্লেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। প্লেনে ছিলেন ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু। এরপর বহুবার অনুসন্ধান চালানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, অনুসন্ধান পরিচালনা করবে সমুদ্র অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি। তারা দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের সাগরতলে ৫৫ দিন ধরে খোঁজ চালাবে। অনুসন্ধান চলবে পর্যায়ক্রমে এবং খোঁজা হবে সেই সব এলাকায় যেগুলোকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোন এলাকায় খোঁজা হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আগের অনুসন্ধানগুলো অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় ব্যর্থ হয়। বিগত বছরগুলোতে আফ্রিকার উপকূল ও ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ বলে ধারণা করা কিছু অংশ পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের ৪৯৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়—প্লেনটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইচ্ছে করে অন্যদিকে ঘোরানো হয়েছিল বলে সম্ভাবনা আছে, তবে কে বা কারা এর পেছনে ছিল, তা নির্ধা
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০–এর অনুসন্ধান আবার শুরু হতে যাচ্ছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হবে।
২০১৪ সালে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ প্লেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। প্লেনে ছিলেন ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু। এরপর বহুবার অনুসন্ধান চালানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, অনুসন্ধান পরিচালনা করবে সমুদ্র অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি। তারা দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের সাগরতলে ৫৫ দিন ধরে খোঁজ চালাবে।
অনুসন্ধান চলবে পর্যায়ক্রমে এবং খোঁজা হবে সেই সব এলাকায় যেগুলোকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন এলাকায় খোঁজা হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আগের অনুসন্ধানগুলো অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় ব্যর্থ হয়। বিগত বছরগুলোতে আফ্রিকার উপকূল ও ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ বলে ধারণা করা কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
২০১৮ সালের ৪৯৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়—প্লেনটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইচ্ছে করে অন্যদিকে ঘোরানো হয়েছিল বলে সম্ভাবনা আছে, তবে কে বা কারা এর পেছনে ছিল, তা নির্ধারণ করা যায়নি এবং চূড়ান্ত সত্য জানতে হলে অবশ্যই প্লেনের মূল ধ্বংসাবশেষ পাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাইলট ও কো-পাইলটের আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত পটভূমি বা মানসিক স্বাস্থ্য— কোনো বিষয়েই সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়া সরকার বলেছে, যদি নতুন অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়, তবে ওশান ইনফিনিটিকে ৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে। নতুন অনুসন্ধান এলাকা হবে প্রায় ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার।
২০১৮ সালের আগেও প্রতিষ্ঠানটি অনুসন্ধান চালিয়েছে, তবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্লেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন—১৫০ জনের বেশি চীনা নাগরিক, ৫০ জন মালয়েশীয়। এছাড়া ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও কানাডার নাগরিকও ছিলেন।
নিখোঁজদের স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, বোয়িং এবং বিমা প্রতিষ্ঠান আলিয়াঞ্জসহ বিভিন্ন পক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম
What's Your Reaction?