২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বদলি কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পদে আবারও রদবদল হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বর্তমান ইউএনও আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জে পদায়ন করা হয়। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কর্মরত।
তবে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসে।
সর্বশেষ আদেশ অনুযায়ী, চুনারুঘাটের ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়াকে কোম্পানীগঞ্জে এবং ফেঞ্চুগঞ্জে পদায়নকৃত শফিকুল ইসলামকে চুনারুঘাটে বদলি করা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ব্যর্থতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে বদলির আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। আর নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান মো. সারোয়ার আলম। তিনি উপসচিব পদমর্যাদায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) সাদাপাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একইসঙ্গে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হলো সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে দিয়ে। যদিও ওএসডি করার কারণ প্রসঙ্গে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সাদাপাথর লুটের ঘটনা জানাজানি হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। তখন শের মাহবুব মুরাদ প্রশাসনের কোনো দোষ বা দায় ছিল না বলে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন।