রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্নমত। ২৫ সেপ্টেম্বরই রাকসু নির্বাচন চায় শিবির। তবে দুর্গাপূজার ছুটির পর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল বলছে, পূজার ছুটি ও কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ক্যাম্পাসে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তারা চান নির্বাচন পূজার ছুটির পরে অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে ছাত্রশিবির বলছে, তারা ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন চান। তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকবেন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, ‘আমরা সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা দেখছি, ৪৮ ঘণ্টা আগে যে উৎসবমুখর পরিবেশ এবং ভোটার ও প্রাথীদের আনাগোনা ছিল, সেটা এখন অনেকটায় স্থবির হয়ে গেছে। ভোটার নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাসায় চলে গেছেন। আমরা চাই সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি হয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি বিবেচনা করে, ভোটারদের উপস্থিতির কথা যদি বিবেচনা করে, সেক্ষেত্রে আমি বলবো আপনারা শিক্ষার্থীদের পালস বোঝার চেষ্টা করেন। নির্বাচনটা আমি চাই দুর্গাপূজার পরেই হোক।’
একই দিন বিকেল ৩টায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি উত্থাপন করে রাবি শাখা ছাত্রশিবির। সেখানে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী- শিক্ষার্থী সবারই অনেক সময় ব্যয় হয়েছে এই নির্বাচনের পেছনে। অনেক প্রার্থী পরীক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। রাকসু নির্বাচনের যে আমেজ তৈরি হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে সেটা আর থাকবে না। তাই আমাদের বোল্ড স্টেটমেন্ট হচ্ছে, ২৫ তারিখের নির্বাচন ২৫ তারিখেই চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রশাসন যদি একটা বোল্ড স্টেটমেন্ট দেয়, ২৫ তারিখেই রাকসু হবে; তাহলে শিক্ষার্থীরা স্যাক্রিফাইস করে ক্যাম্পাসে থাকবে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এমএস