সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘ভাঙরে শেকল আনরে আলো’ স্লোগানকে ধারণ করে তিন দিনব্যাপী ‘সংসক্তি সংঘট্ট: সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ অনুষ্ঠান শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের (টিএসসি) আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের প্রথম জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও পদাতিক নাট্য সংসদের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী পরিবেশনা এবং পদাতিক নাট্য সংসদ ও নবরস’র অংশগ্রহণে পথনাটক প্রদর্শনী পরিবেশিত হবে।
দ্বিতীয় দিন প্রাচ্যনাট ও জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার অংশগ্রহণে পথনাটক প্রদর্শনী এবং তৃতীয় দিন রোববার (১৭ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও বন্ধুদের অংশগ্রহণে মুক্তির কবিতা ও গান পরিবেশিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদা মেহের আফরোজ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটানো বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই গণঅভ্যুত্থানে শুরু থেকেই অংশ নিয়েছেন অসংখ্য সংস্কৃতিকর্মী। অসংখ্য পারফরম্যান্স আর্ট, পথনাটক দ্রোহের বাণী নিয়ে আঘাত হেনেছে ফ্যাসিজমের কেন্দ্রস্থলে। আমরা বিশ্বাস করি, ফ্যাসিজমের কোনো দল থাকে না। সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝেও কিছু স্বৈরতান্ত্রিক দালালের উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি। দেশ নাটকের আজিজ বাবু তার ব্যতিক্রম নন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টাদের অবমাননা করায় তাকে সর্বোচ্চ আইন অনুসারে শাস্তির দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর বারবার হামলা আমাদের বিচলিত করে তুলছে। ভবিষ্যৎ সংস্কৃতিচর্চার দশা ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় আমরা মনে করি সংস্কৃতিকর্মীদের সংহতি একান্ত দরকার। গণঅভ্যুত্থানের যে স্পৃহা আমাদের মননে আমরা লালন করি, তার প্রদর্শনী অতীব জরুরি।
সৈকত ইসলাম/এসআর/জেআইএম